• ব্রাত্যর গাড়িতে ‘চাপা পড়ার’ ভিডিয়ো পুলিশকে দিলাম! থানা থেকে বেরিয়ে দাবি সৃজনের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর যাদবপুর থানা থেকে বেরিয়ে এলেন বাম যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। গত ১ মার্চ তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল যাদবপুর থানার পুলিশ।

    সেই মতো এদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ যাদবপু থানায় পৌঁছন সৃজন। থানা থেকে বের হন প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর - রাত ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ। এতক্ষণ ভিতরে তিনি কী করছিলেন, পুলিশের সঙ্গে তাঁর কী কথা হল, তা নিয়ে সব মহলেই কৌতূহল ছিল। সেই সব প্রশ্নেরও নিজের মতো করে জবাব ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সৃজন।

    প্রসঙ্গত, বামেদের দাবি ছিল, গত ১ মার্চ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হন ইন্দ্রানুজ রায় নামে এক ছাত্র। এই দাবির স্বপক্ষে একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে ইন্দ্রানুজকে মন্ত্রীর গাড়ির নীচে আড়াআড়াভাবে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

    কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, এই ছবি ভুয়ো। সেদিনের ঘটনার সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক ক্যামেরা সেখানে ছিল। তাহলে বামেরা যে ছবি প্রকাশ করেছিল, তার ভিডিয়ো কোথায়? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য।

    শনিবার দেবাংশুর তোলা সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সৃজন। এদিন আড়াই ঘণ্টা যাদবপুর থানায় কাটিয়ে সেখান থেকে বেরোনোর পর তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাঁকে যাদবপুর কাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ আনতে বলেছিল। তিনি সেই সমস্ত ডিজিট্যাল নথি এদিন সঙ্গে এনেছিলেন বলেই জানান সৃজন এবং সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    সৃজনের দাবি, সেদিনের ঘটনার সময় কোনও একটি সংবাদমাধ্যমের ব্যুলেটিনে ইন্দ্রানুজের মন্ত্রীর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়ার ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানো হয়েছিল। সেই ফুটেজ এত দিন প্রকাশ করা হয়নি, কারণ - তাতে ওই সংবাদমাধ্যমের লোগো ছিল। কিন্তু, পুলিশকে সেই ব্যুলেটিনের সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।

    তবে, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই বিষয়ে যাদবপুর থানা বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য সামনে আনা হয়নি। যদিও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সৃজনকে আরও কিছু প্রশ্ন করেছে পুলিশ।

    যেমন - তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কী সম্পর্ক, ১ মার্চের ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন কিনা ইত্যাদি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)