• হাসপাতাল থেকেই পড়ুয়াদের ইমেল যাদবপুরের VC-র, ‘স্য়ার’কে দেখে এলেন ছাত্রছাত্রীরাও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • যাদবপুর কাণ্ডে 'বরফ গলা'র আভাস নাকি পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করেই এমনটা আশা করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। যে ঘটনাক্রমের সর্বশেষ সংযোজনটি ঘটেছে আজ ।

    এদিন বাইপাস লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া। উপাচার্যের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তাঁকে পুস্পস্তবক উপহার দেন তাঁরা! লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, সেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অভিনব বসুও ছিলেন। যিনি গত ১ মার্চের ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই শনিবার 'স্যার'কে দেখতে যান তিনিও।

    এদিকে, উপাচার্যের পক্ষ থেকেও বিবাদ মিটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকেই ইমেল পাঠিয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উদ্দেশে ক্লাসে ফেরার এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়াশোনা ও গবেষণার স্বাভাবিক কাজকর্ম ফেরানোর আবেদন জানান তিনি।

    উপাচার্য তাঁর ইমেল বার্তায় জানান, গত ১ মার্চ যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত 'দুঃখজনক' ঘটনা। তিনি যে পড়ুয়াদের প্রতি সম্পূর্ণ রূপে সহানুভূতিশীল, সেই বার্তা স্পষ্টভাবেই দিয়েছেন উপাচার্য।

    অন্যদিকে, শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফেও আন্দোলনরত ছাত্রদের পড়াশোনায় ফেরার আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ, তাঁরা ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এবং সেই কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। এমনকী, তাঁদের মধ্য়ে কেউ কেউ পরীক্ষায় বসবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    এদিকে, গত ১ মার্চের ঘটনায় সবথেকে বেশি আহত যে ছাত্র হয়েছিলেন, সেই ইন্দ্রানুজ রায়ও এখন ভালো আছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। খুব সম্ভবত, তাঁকে আগামী সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, ১ মার্চের ঘটনার পর ইন্দ্রানুজের অভিভাবকদের ফোন করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পরবর্তীতে ইন্দ্রানুজের বাবাও অসুস্থ উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন।

    এদিকে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি আপাতত অনেকটাই ভালো আছেন। নতুন করে তাঁর রক্তচাপ ওঠানামার সমস্য়া আর হয়নি। শরীরের জলের পরিমাণও স্থিতিশীল রয়েছে।

    এই অবস্থায় দুই পক্ষ যেভাবে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছে, তাতে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। মনে করা হচ্ছে, নতুন করে কোনও অশান্তি না হলে এবার হয়তো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে। অন্তত, পঠনপাঠনের স্বাভাবিক পরিবেশ যাতে ফেরে, সেই প্রয়াস করা হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)