• SFI মিছিলের ভিড় মাপতে ড্রোন ওড়াল পুলিশ, FB-তে ছাড়ার জন্য ফুটেজ চাইলেন ছাত্ররা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিধানসভা এলাকায়, তাঁর 'সন্ধানে' মিছিল করল বাম ছাত্র সংগঠন - এসএফআই। আর সেই কর্মসূচি শুরু হল পুলিশকে টিকা টিপ্পনি কেটে! তাও রীতিমতো মাইকে!

    ঘটনা হল, এই মিছিল যে হবে, তা আগেই ঘোষণা করেছিল এসএফআই। সেই উপলক্ষে সংগঠনের সদস্য ও সমর্থকরা কর্মসূচি শুরুর আগেই একে একে এসে জমা হতে শুরু করেন। মিছিল শুরু করার কথা ছিল দমদম জংশন স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে। এবং তা শেষ হওয়ার কথা ছিল নাগেরবাজার মোড়ে।

    সেই পরিকল্পনা অনুসারে, শনিবার জমায়েত শুরু হতেই ভিড়ের বহর কত, তার একটা ঠিকঠাক আন্দাজ পেতে দমদমের আকাশে ড্রোন ওড়ায় পুলিশ। বিষয়টি নজরে আসতেই টিকা টিপ্পনি কাটকে শুরু করেন এসএফআই-এর নেতা নেত্রীরা। রীতিমতো মাইক হাতে পুলিশের উদ্দেশে একেবারে নরম গলায় আবেদনের সুরে তাঁরা বলেন, 'আমাদের অর্থবল নেই। ওই ড্রোনের ফুটেজ আমাদের দিয়ে দেবেন। তা হলে সমাজমাধ্যমে প্রচার করতে পারব!'

    পুলিশের তরফে এর জবাব না এলেও জমায়েতের মধ্য়ে এ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা শুরু হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ইদানীংকালে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআই-ও ক্রমশ ডিজিট্যাল হয়ে উঠছে। কোথাও বড় কোনও সমাবেশ, মিটিং, মিছিল হলেই তারাও তৃণমূল, বিজেপির মতো রীতিমতো তার ডিজিট্যাল প্রচার করে। সেই প্রচারে ড্রোন থেকে তোলা ছবি ও ভিডিয়ো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবেই ব্যবহার করা হয়।

    কিন্তু, শনিবার এসএফআই-এর পক্ষ থেকে যে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল, তার জন্য এমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফলত, পুলিশকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়াতে দেখেই, সেই 'ফুটেজ' চেয়ে 'আবদার' করে বসেন এসএফআই-এর নেতা নেত্রীরা।

    পরবর্তীতে, এসএফআই-এর মিছিল শুরু হয়। এবং দমদম রোড ধরে এগিয়ে গিয়ে সেই মিছিল পৌঁছয় নাগেরবাজার। সেখানেই শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি।

    এদিকে, যাদবপুরের ঘটনায় এদিনই সন্ধেবেলা এসএফআই-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠিয়েছে যাদবপুর থানা। এদিন সন্ধ্য়ায় তাঁকে থানা যেতে বলা হয়েছিল। সঙ্গে যাদবপুরের ঘটনার ভিডিয়ো ও ছবিও তাঁকে নিয়ে যেতে বলা হয়।

    এসএফআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সৃজন যাদবপুর থানা থেকে বের হচ্ছেন, ততক্ষণ নাগেরবাজারে তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

    যদিও বাম ছাত্র সংগঠনের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে তাঁকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, 'সিপিআই জমানায় এসএফআই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, তা মানুষ ভুলে যায়নি। এখন সাধু সাজতে এসেছে। কিন্তু মানুষ সব জানে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)