মধ্য়মগ্রামে পিসিশাশুড়িকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল মা ও মেয়েকে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে যে তথ্য় আসছে তা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। প্রাথমিকভাবে পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে মূলত টাকাপয়সা, গয়না, সম্পত্তি লোভেই খুন করেছিল মা মেয়ে। কিন্তু ট্রলিতে ভরে গঙ্গায় ফেলার আগে সব ফাঁস হয়ে গেল। ধরা পড়ে গেলেন মা ও মেয়ে। এরপরই গ্রেফতার। কার্যত লোভ যে তাদের এত ভয়াবহ জায়গায় নিয়ে যাবে তা জানতে পেরে অবাক হচ্ছেন অনেকেই।
সূত্রের খবর, ট্রলি ব্যাগে দেহ ভরার পরে ভোরবেলা ট্রলি নিয়ে তারা গিয়েছিল কুমোরটুলির ঘাটে। কিন্তু সেখানে শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ে যান তারা। মূলত কুমোরটুলিতে এর আগে থেকেছিলেন মা ও মেয়ে। সেকারণেই তারা সেই চেনা জায়গাতেই দেহ ফেলতে গিয়েছিলেন। তবে তার আগে যে কাজ তারা করেছিলেন তা জানতে পেরে হতবাক অনেকেই।
সুমিতা ঘোষের দেহ ট্রলিতে ভরার আগে তার গায়ের সব গয়না খুলে ফেলেছিলেন মা ও মেয়ে। এক এক করে সেই গয়না খুলে ফেলেন তারা। খুলে ফেলে মধ্য়মগ্রামের একটি সোনার দোকানে সেই গয়না নিয়ে যান তারা। সেখানে সুমিতা ঘোষের গা থেকে যে গয়না তারা পেয়েছিলেন তা বিক্রি করেন। সেখানে গয়না বিক্রি করেন তারা। ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকায় তারা গয়না বিক্রি করে। এরপর সেই গয়না বিক্রির টাকায় কিছু নতুন গয়না কেনা হয়। প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার নতুন গয়না কিনেছিল তারা। এরপর তারা বাকি টাকা নগদে নিয়ে যায়। ইতিমধ্য়েই পুলিশ সেই সোনার দোকানের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে যে গয়না তারা বিক্রি করেছিল সেই গয়না আপাতত গলিয়ে ফেলা হয়েছে। কার্যত দেহ ট্রলিতে ভরার আগেই খুলে ফেলা হয়েছিল গয়না। সেই গয়না বিক্রিও করে ফেলা হয়। এমনকী যাতে সন্দেহ না হয় সেকারণে খুনের আগে অসমের টিকিট কাটা হয়েছিল সুমিতার নামে। যাতে বোঝা যায় যে তিনি চলে গিয়েছেন এখান থেকে। কার্যত সব ছক কষেই ফেলেছিল মা ও মেয়ে।
সূত্রের খবর একটি ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে কথা চালাচ্ছিল মা ও মেয়ে। তবে কি সেই টাকা জোগাড় করার জন্যই এই খুন? ফাল্গুনি ও তার মা আরতি ঘোষ। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিধবা, নিঃসন্তান পিসি শাশুড়ির গয়নার লোভে তাঁকে খুন করে একেবারে ট্রলিতে ভরে ফেলার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।