• দিদির বিয়ের কাজ করতে গিয়ে বাবার চোখের সামনে মর্মান্তিক মৃত্যু কিশোরীর
    এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • বাবার কাজে সাহায্য করতে গিয়ে বাবার চোখের সামনেই কাঠ চেরাই মিলে মর্মান্তিক মৃত্যু হলো কিশোরীর। শনিবার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বনসরিয়া গ্রামের ঘটনা। মৃত কিশোরীর নাম খুশি খাতুন, বয়স ১৫।

    বনসরিয়া গ্রামে কাঠ চেরাইয়ের মিল রয়েছে মিরাজুল ইসলামের। তিনি নিজেই রোজ সেখানে কাজের দেখভাল করেন। আগামী মাসের প্রথম দিকেই তাঁর বড় মেয়ের বিয়ে রয়েছে। সেই কারণে যা জ্বালানি প্রয়োজন, সেগুলি আগেভাগে জোগাড় করে রাখতে নিজের মিলে কাঠ চেরাই করছিলেন তিনি। দিদির বিয়ের কাজে বাবাকে সাহায্য করতে মিলে এসেছিল মিরাজুলের ছোট মেয়ে খুশি। কাঠের লগ করাতে তুলে দিতে সাহায্য করছিল সে। সেই সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা। মিলের কর্মীরা জানাচ্ছেন, অসাবধানতায় খুশির পরনে থাকা ওড়না মিলের ফিতেয় জড়িয়ে যায়। সেই টানে মিলের মেশিনের মধ্যে চলে যায় খুশি। মুহূর্তে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। মিলের এক কর্মী বলেন, ‘হঠাৎ বেল্টের মধ্যে পেঁচিয়ে যায় ওড়না। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই আমরা। ওখানে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করে।’ হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল খুশিকে, সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ এসে ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহ নিয়ে গিয়েছে।

    ঘটনার ধাক্কায় ভেঙে পড়েছেন মৃতার বাবা মিরাজুল ইসলাম। তাঁর চার মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল খুশি। তিনি বলেন, ‘ছোট মেয়ে আমাকে কাঠ ধরিয়ে দিচ্ছিল। ঘটনার সময় আমি এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখনই হঠাৎ ওর ওড়না জড়িয়ে যায়। মানা করেছিলাম, এখন আসিস না... মিল চলছে। আমি বাঁচাতে গিয়েছিলাম... পারলাম না।’ এই ঘটনার অভিঘাতে কার্যত শোকস্তব্ধ পরিবারটি। পুলিশ জানিয়েছেন, আপাতত ওই কাঠ চেরাই মিলটিকে সিল করা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)