• তিনতলা থেকে ধাক্কা দিয়েছিল বাবা? হাসপাতালেই আঝোরে কান্না নাবালিকার
    এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়েছিল বাবা? আতঙ্কে শিঁটিয়ে রয়েছে ১৫ বছরের নাবালিকা। হাসপাতালেই মাঝে মধ্যে কেঁদে উঠছে সে। পায়ে রয়েছে প্লাস্টার। কাঁধে, ঘাড়ে চোট। শারীরিক যন্ত্রনার সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকাকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক।

    শুক্রবার গভীর রাতে আনন্দপল্লি এলাকায় তিন তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বাবার বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত হন ওই নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম চিন্ময় গোপ। তিনি আনন্দপল্লির একটি বহুতলে নিজের পরিবার নিয়ে থাকতেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাবাকে। 

    শুক্রবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ যাদবপুর থানায় ফোন করেন আনন্দপল্লির এক বাসিন্দা। তিনি জানান, ৯৬/৩ আনন্দপল্লি ঠিকানার বাসিন্দা এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে তিনতলার বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দিয়েছেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

    রবিবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। রবিবার ঘটনাস্থলে যেতে পারে ফরেন্সিক টিম। নাবালিকার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পা এবং কোমরে গুরুতর চোট পেয়েছে সে। পায়ে করা হয়েছে প্লাস্টারও। কাঁধে এবং ঘাড়ে চোট রয়েছে তার। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ওই নাবালিকা। মাঝে মধ্যে কান্নাকাটিও করছে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ বছর ধরে স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন না চিন্ময়। তাঁর মায়ের মৃত্যু হয় করোনার সময়ে। সেই থেকে বাবা এবং মেয়ে আনন্দপল্লির এই ফ্ল্যাটে থাকেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, একাধিক দিন চিন্ময় মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ওই নাবালিকার বাবা দাবি করেছেন, মেয়ে রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েক জন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতেন। তা জানার পরেই তিনি মেয়েকে সতর্ক করেছিলেন  ওই ছেলেরা ভালো নয়। চিন্ময়ের দাবি, বন্ধু বাড়ি যাওয়ার নাম করে বুধবার তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বাড়ি ফেরে শুক্রবার সন্ধ্যায়। তার ফোনও সুইচড অফ ছিল। মেয়ের এই আচরণের জন্য চিন্ময় বকাবকি করেছিলেন। এরপর মেয়ে নিজেই বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয় বলে দাবি চিন্ময়ের। তাঁর এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 

  • Link to this news (এই সময়)