কিশোরীকে ৩ তলা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে, বাবা বলছেন অন্য গল্প
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ মার্চ ২০২৫
তিন তলার ব্যালকনি থেকে মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বাবা। আহত নাবালিকার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। যদিও অভিযুক্ত চিন্ময় গোপের দাবি, তিনি মেয়েকে ধাক্কা দেননি। মেয়ে নিজেই ঝাঁপ দিয়েছে। কলকাতা লাগোয়া যাদবপুরের আনন্দপল্লির এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের ওপর লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত প্রায় ১টা। হঠাৎ ওপর থেকে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ পান ৯৬/৩ আনন্দপল্লির বাসিন্দারা। বাইরে বেরিয়ে দেখেন রাস্তার ওপর পড়ে কাতরাচ্ছে প্রতিবেশী ১৫ বছরের নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। নাবালিকা জানায়, তার বাবা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এর পর পুলিশ অভিযুক্ত চিন্ময় গোপকে গ্রেফতার করে।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে স্ত্রী চিনন্ময়ের সঙ্গে থাকেন না। মেয়েকে নিয়ে আনন্দপল্লির ওই বাড়ির ৩ তলায় থাকতেন তিনি। প্রায় রোজই রাতে মদ্যপান করে এসে মেয়েকে নির্যাতন করতেন। এমনকী তাঁর ফ্ল্যাটে কম বয়সী যুবকদের যাতায়াত ছিল বলেও দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, প্রতি রাতেই মেয়েটি বাবার নির্যাতন করতে না পেরে আর্তনাদ করত। কয়েকদিন আগে বাড়িতে পুলিশ আধিকারিকরা এসেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার রাতেই চিন্ময়বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান আধিকারিকরা। সেখানে অভিযুক্ত দাবি করেছেন, মেয়ের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছেলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েকে এসব থেকে সরে আসতে বলায় তার সঙ্গে বিবাদ বাঁধে। শুক্রবার রাতে মেয়ের ঘরে কোনও ছেলে ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। ধরা পড়ে যাওয়ায় মেয়ে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়েছে বলে দাবি তাঁর।
ওদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তার কোমরে, কাঁধে ও পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে। যার জেরে প্লাস্টার করতে হয়েছে তার পায়ে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। বাবা সত্যি বলছেন, না মেয়ে জানতে ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নাবালিকার মায়ের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।