দেবব্রত ঘোষ: ভগবান শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৯০ তম জন্মমহোৎসব চলছে এক সপ্তাহ ধরে। আজ তার সমাপ্তি। সমাপ্তি হয় সাধারণ উৎসব দিয়ে। তা হয় বেলুড় মঠে। সেজন্য আজ, রবিবার সকাল থেকেই সেজে উঠেছে বেলুড় মঠ।
ভোর ৪:৩০ মিনিটে মঙ্গলারতি র মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা। আজ সারা দিন ধরেই নানা অনুষ্ঠান হবে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দিরের ডানদিকে গঙ্গার ধারে অস্থায়ী মঞ্চে সকাল থেকেই চলছে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। চলছে বেদপাঠ, স্তব গান, ভজন, রামকৃষ্ণ পুঁথি পাঠ ও ব্যাখ্যা, পদাবলী কীর্তন, ভক্তিগীতি, বাউল গান, কবিগান, লোকগীতি।
ঠাকুরের জন্মতিথির ঠিক পরের রবিবারটিতেই অনুষ্ঠিত হয় তাঁর এই সাধারণ উৎসব। এটি রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের রীতি ও ঐতিহ্য। এই উৎসবের একটা বিশেষত্ব আছে। এটি রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনে আয়োজিত-অনুষ্ঠিত যে কোনও উৎসব থেকেই স্বভাবধর্মে অনেকটা আলাদা। এখানে ভক্তদেরও যেমন ঢল নামে, নামে একেবারে সাধারণেরও। কোনও বাছবিচার থাকে না। আজ, ঠাকুর সবার, সকলের। এ শুধু আধ্যাত্মিক উদযাপন নয়, সঙ্গে রয়েছে গভীর লোকায়ত-যোগ।
আসলে আজকের এই বিশেষ দিনে বেলুড় মঠ প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের জন্য। মঠে বসে মেলাও, যা অন্য কোনও উৎসবে দেখা যায় না। সমগ্র মঠ জুড়েই ব্যবসাদাররা নানা পসরা সাজিয়ে বসেন। আজও বসেছেন। রকমারি খাবারও এদিন মঠে প্রাঙ্গণে পাওয়া যায়। যা মঠ-মিশনের অন্য কোনও উৎসবে কল্পনাই করা যায় না। আজও সকাল থেকেই সেখানে চলছে বেচাকেনা। বেলা ১১ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত হাতে-হাতে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে 'মা সারদা সদব্রত ভবন' থেকে। সন্ধ্যারতির পর এই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি।