• অসামাজিক কাজ রুখতে কোচবিহারের ৩৫টি স্কুলে বসছে হাইমাস্ট আলো
    এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, কোচবিহার: টাকা পাওয়ার সাত মাস পর অবশেষে কাজ শুরু করলেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। প্রথম ধাপে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার কাজ শুরু হলো জেলায়। জেলার একাধিক স্কুলে হাইমাস্ট আলো লাগানোর ব্যবস্থা করছেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতার কোচবিহার ভবন সংস্কারে টাকা দিয়েছেন। কোচবিহার শহরের উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সংস্কার হচ্ছে সাংসদ কোটার টাকায়।

    কোচবিহার শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর পাশাপাশি সেজে উঠবে কোচবিহারের জেলা শাসকের দপ্তরও। সাংসদ বলেন, ‘রাস্তা, কালভার্ট এই সমস্ত গতানুগতিক কাজের বাইরেও বিশেষ কিছু কাজের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার কাজ হচ্ছে।’

    জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার সাতটি বিধানসভা এলাকা থেকে পাঁচটি করে বিদ্যালয় বেছে নিয়ে সেখানে হাইমাস্ট আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে সাংসদ তহবিলের টাকায়। এ ধরনের ৩৫টি বিদ্যালয়ে এই আলো লাগাতে খরচা হচ্ছে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। এই বিদ্যালয়গুলির মধ্যে অনেকগুলোর মাঠে রাতে অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে।

    এখন রাতেও বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণগুলো আলোকিত থাকবে। এর ফলে নিরাপত্তা বাড়ার পাশাপাশি অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ হবে বিদ্যালয়ের মাঠে। শহরের রামমোলা হাই স্কুল, নিউ টাউন গার্লস এই তালিকায় রয়েছে। কলকাতার কোচবিহার ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশা।

    সেই ভবনটি সংস্কার করতে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কোচবিহার শহরে থাকা উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরটি সংস্কার করতে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন জগদীশ। কোচবিহার শহরের মদনমোহন বাড়ি এলাকা ও সাগরদিঘি চত্বরে নিরাপত্তা বাড়াতে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। তার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    এছাড়াও কোচবিহারে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে দুটো গেট তৈরি করা হবে এবং কিছু সংস্কারমূলক কাজ হবে। তার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে পরাজিত করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তারপর গত বছরই অগস্ট মাসে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পান তিনি।

    এ ছাড়া আগের সাংসদের কোটার খরচ না হওয়া ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকাও পান তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় কোনও কাজ শুরু না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে কাজ শুরু হলো।

  • Link to this news (এই সময়)