এই সময়, হাওড়া: আন্তঃরাজ্য লরি চালানোর আড়ালে চলত এটিএম লুটচক্র। সাঁকরাইলের এটিএম লুটচক্রের তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশের হাতে উঠে এলো এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এটিএম লুটের ঘটনায় মূল পান্ডাকে হরিয়ানা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শীঘ্রই পুরো গ্যাং–কে ধরে লুট হওয়া টাকা উদ্ধার হবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী।
হাওড়ার সাঁকরাইলের আলমপুর মোড়ের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে ১৬ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে কিছু দিন আগে। এই অপরাধে মূল অভিযুক্তকে হরিয়ানার নুহ থেকে গ্রেপ্তার করেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। সেইসঙ্গে, এই চক্রের সবাইকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে আলমপুর মোড়ের কাছে এটিএম ভেঙে নগদ টাকা লুট করে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে জানতে পারেন, চুরি করা গাড়িতে ঘটনাস্থলে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ভোরে অপারেশনের পরে গাড়িটিকে ডোমজুড়ের কলোরাতে ফেলে পালায়।
পরে ধূলাগড় ট্রাক টার্মিনাসে এসে কন্টেনার নিয়ে উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যায়। সমস্ত ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে ভিন রাজ্যের দুস্কৃতীদের যোগ পান তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁরা একই কায়দায় এটিএম লুট চালায়।
তদন্তে নেমে মোশারফ নামে এই চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘এই চক্রে জড়িত আরও চার–পাঁচ জনের নাম, পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। মূল অভিযুক্ত মোশারফকে গ্রেপ্তারের পরে, তাকে জেরা করে পুরো চক্রের হদিশ পাওয়া যায়। তারা বিভিন্ন রাজ্যে ব্যবসায়িক কারণে বড় গাড়ি নিয়ে গিয়ে, সেখানে গ্যাসকাটার দিয়ে এটিএম থেকে টাকা লুট করে। বিভিন্ন রাজ্যে তারা এটিএম লুটচক্রের পরিচিত দুষ্কৃতী। আশা করছি, শীঘ্রই এই দলের সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। পুরো দল ধরা পড়লেই লুট হওয়া টাকাও উদ্ধার করা যাবে।’