• হোম স্টে-তে বসে নদী দেখার জন্য নির্বিচারে কাটা হলো ম্যানগ্রোভ, অভিযোগ তুলে সরব স্থানীয়রা
    এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • ‘শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়?’

    ‘অসুখ’-টা শহুরে কি না তা জানা নেই স্থানীয়দের। কিন্তু ‘সবুজের অনটন’ ঘটছে আশঙ্কায় তাঁরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলির গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, গ্রাম্য পরিবেশ উপভোগ করার জন্য এখন সেখানে ভিড় জমান বহু পর্যটক। চাহিদা আর জোগানের সমস্ত শর্ত মেনে সেখানে ইতি-উতি তৈরি হয়েছে হোম-স্টে। আর এই ধরনের একটি হোম-স্টের আরাম চেয়ারে গা এলিয়ে পর্যটকদের চক্ষুবিলাসের জন্য নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কাটার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, হোম স্টেতে বসে যাতে পর্যটকরা নদী দেখতে পান সে জন্য নির্বিচারে চলেছে করাত। ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    স্থানীয় বাসিন্দা খইরুল মণ্ডল বলেন, ‘মাতলা নদীর ধারে এই জায়গা অত্যন্ত ভাঙন প্রবণ। মাঝেমধ্যে সেই জায়গা ভেঙে জল ঢুকে যায় গ্রামে। আর সেই সময়ে গ্রামবাসীদের রক্ষা করে এই ম্যানগ্রোভ। ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয় বিধায়ক এই গাছ লাগিয়েছিলেন। রাতের অন্ধকারে তা কেউ কেটে নিয়ে গিয়েছে।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছিল। সকলে সেখানে ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগেই কেউ সমস্ত গাছ কেটে নিয়ে যায়। সকালে উঠে একটি গাছও দেখতে পাননি এলাকাবাসী।

    কে কাটল ম্যানগ্রোভ? স্থানীয়দের অভিযোগ, হোম স্টের মালিক মাসুদ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে। যদিও তিনি দাবি করেছেন, ‘না জেনে অনেকে অনেক কথা বলেন। আমি এখানে থাকি না। রাতে এসেছিলাম একটি নিমন্ত্রণ পেয়ে। অভিযোগ করা মানে তা প্রমাণ হয়ে যায় না। আমি কোনও গাছ কাটিনি।’

    রবিবার সকালে অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান বন দপ্তরের কর্মীরা। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর বন দপ্তরের পক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ শাহাজাদ শেখ জানান, এই ঘটনায় তদন্তের জন্য বন দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি বেআইনি ভাবে গাছ কেটে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিডিও সুচন্দন বৈদ্য জানান, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

  • Link to this news (এই সময়)