• বনদপ্তরের কড়া নিষেধাজ্ঞা, সোনাঝুরির হাটে এবছর পালিত হবে না বসন্তোৎসব...
    আজকাল | ০৯ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে, ভরা বসন্ত এখন। চতুর্দিকে গাছের পাতা হলুদ হয়ে খসে পড়ছে টুপটাপ, তার উপরে আলগোছে পড়ে রয়েছেন আগুনরঙা শিমুল। দক্ষিণবঙ্গের আরও অনেক জায়গার মতোই শান্তিনিকেতনও এখন এমনটাই। বসন্তের মৃদু হাওয়ার মতো শান্ত, আবার কখনও আগুন রঙা পলাশের মতো তার রূপ। দোল, রঙের খেলা, পলাশফুল এসব বললেই এক লহমায় ভেসে আসে শান্তিনিকেতন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিকে এখন রতনপল্লি, সোনাঝুরির হাট, শ্যামবাটী, জামবুনি, চেনা অচেনা বহু জায়গাতেই বসন্ত উৎসব পালিত হয়। 

    তবে, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাটে বনদপ্তরের নিষেধাজ্ঞার জন্য এই বছর আয়োজিত হচ্ছে না বসন্ত উৎসব। দোল পূর্ণিমার দিন সেখানে পর্যটক ও স্থানীয়দের প্রবেশাধিকার থাকলেও রঙ খেলা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। 

    এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ঘরোয়া ভাবে বসন্ত উৎসব পালন করছে। সেখানে বহিরাগতদের কোনওরকম প্রবেশাধিকার থাকে না। সেই কারণেই বোলপুর ও শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন এলাকায় আলাদাভাবে বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছে প্রায় একই আঙ্গিকে, ধুমধামের সঙ্গে। গত কয়েক বছর ধরে বোলপুর বনদপ্তরের অন্তর্গত সোনাঝুরি জঙ্গলে স্থানীয়দের উদ্যোগে বসন্ত উৎসব পালিত হয়েছে।

     কিন্তু এবছর করা নিয়ম, বোলপুর বনদপ্তরের তরফে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞায় মন ভার বহু পর্যটকের। অনেকেই ওই নির্দিষ্ট সময়ে সোনাঝুরির জঙ্গলে দোল খেলবেন বলে একপ্রকার পরিকল্পনা করে তৈরি। 

    হাটের ব্যবসায়ীরা অবশ্য বনদপ্তরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন। বোলপুর বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গল এলাকায় প্রচুর মানুষের আনাগোনা ও রং খেলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাছ। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক গাড়ি আসার ফলে পার্কিং করতে গিয়েও বনদপ্তরের জমি ও গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
  • Link to this news (আজকাল)