‘কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠান, নিষিদ্ধ করুন ওদের,' যাদবপুরে অবাক প্রস্তাব শুভেন্দুর
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ মার্চ ২০২৫
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে। এদিকে সেই গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন এক ছাত্র। বর্তমানে কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এদিকে ঘটনার পরেই যাদবপুর দখল করার জন্য় একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা ইতিমধ্য়েই হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। তবে এবার যাদবপুরকে ঠান্ডা করার জন্য অদ্ভূত যুক্তি দিলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ১ মার্চ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। প্রতিবাদ ও প্রশাসনিক অচলাবস্থার জেরে। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা ও বিজেপির উদ্যোগে আমি আজ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের নবীনা সিনেমা হলের কাছ থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত মিছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে নৈরাজ্য় চলছে তার বিরুদ্ধে এই কর্মসূচি।
তিনি লিখেছেন, আমি রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন ক্যাম্পাসে অস্থির পরিস্থিতির জেরে। কারণ রাজ্য সরকার ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থ।
সেই সঙ্গেই দীর্ঘকালীন পড়াশোনার বিঘ্ন এড়াতে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার কেন্দ্রে পরিণত করেছে যেমন অতি বাম ও বাম ছাত্র সংগঠন, তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন, WBCUPA, JUTA, এদের অবিলম্বে ভেঙে দিয়ে ও এই ধরনের কাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কেবলমাত্র পড়াশোনা, গবেষণা, শিক্ষা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ চলবে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে তাঁর এই বিবৃতির মধ্য়ে দুটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। দ্বিতীয়ত একাধিক সংগঠনের কাজকর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। কিন্তু বাস্তবে এটা কতটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদে সরব হবেন ছাত্রছাত্রীরা এটাই তো স্বাভাবিক। সেই প্রতিবাদের স্বরকে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত?
মাদক সেবন সহ নানা দেশবিরোধী কাজ এখানে হয় বলে দাবি শুভেন্দুর। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে কার্যত তিনি জানিয়ে দিয়েছেন জনজাগরণ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের বিসর্জনের মাধ্যমেই যাদবপুর সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব। এখানেই প্রশ্ন তবে কি বিজেপি ক্ষমতায় কোনও দিন এলে ছাত্র বিক্ষোভ ঠেকাতে ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবে?
শুভেন্দুর পোস্টের জবাবে একজন লিখেছেন, আপনি তাহলে তৃণমূল ও বামেদের ছাত্র সংগঠনকে ব্যান করার কথা বলছেন ক্যাম্পাসে। এরপর এবিভিপির গুণ্ডারা গিয়ে অতীতে যেভাবে কলকাতা ও দিল্লির ক্যাম্পাসে গিয়ে মারধর করতে সেটাই করবে?