বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুশুনিয়া পাহাড়ের একাংশে আগুন লাগে। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় শুশুনিয়া পাহাড়ের একাংশ। বনদপ্তরের কর্মীদের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ফের এমন ঘটনা যাতে না ঘটে কড়া ব্যবস্থা নিল ছাতনা বনদপ্তর।
প্রশাসন সূ্ত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলা পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তড়িঘড়ি গঠন হয়েছে একটি বিশেষ দল। এই দলের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা পাহাড়ের নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১০০ জন বন কর্মীকে নিয়ে তৈরি বিশেষ দল। আগুনের ঘটনা ঘটলেই তা নিয়ন্ত্রণে ঝাঁপিয়ে পড়বে এই ১০০ জনের সেই দলটি।
গত বছর পাহাড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বৃহস্পতিবার শুশুনিয়া পাহাড়ে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাহাড়ের পূর্ব অংশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পুড়ে খাক হয়ে যায় পাহাড়ের বনাঞ্চলের বহু গাছ। ২৪ ঘণ্টা লাগাতার চেষ্টার পর শুক্রবার সকালে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় বন দফতর।
সাধারণত এই ধরনের আগুনে সব থেকে বড় ভয় থাকে বন্যপ্রাণ ও ভেষজ উদ্ভিদ পুড়ে যাওয়ার। আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ছাতনা পুলিশ। বনদপ্তরের বিশাল টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। বনকর্মীরা ব্লোয়ার দিয়ে পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা শুকনো পাতার স্তূপকে সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসেও আগুন লেগেছিল শুশুনিয়া পাহাড়ে। এই আগুনের ঘটনায় পুড়ে যায় বহু গাছপালা। ২০২২ সালের মার্চ মাসেও ঘটেছিল সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে ২০২৪ সালে শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুন লাগার স্মৃতি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। সেই আগুন আয়ত্তে আনতে সময় লেগেছিল তিন থেকে চার দিন। ২০২৫ সালেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।