যাদবপুর শিক্ষা প্রাঙ্গণ নিয়ে ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে এবার পথে 'দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ' সুশীল ও বিদ্যজনেরা
আজকাল | ১০ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এদিন রবিবার দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চের ডাকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো সাংবাদিক সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের কবি লেখক ও অভিনেতা অভিনেত্রী সহ একাধিক বিদ্যজনেরা। এই গণ মঞ্চের প্রাণপুরুষ পূর্ণেন্দু বসু যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর ডাকেই সাড়া দিয়ে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন গুণীজনের।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনভিপ্রেত ঘটনা যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একদিকে যেমন মন্ত্রীর ওপরে হামলা, অন্যদিকে আহত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এই ঘটনায় বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা মহানগরী সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ কলুষিত করছে বাম ছাত্র সংগঠন। আহত চিকিৎসাধীন ছাত্র যার ফেসবুক পেজে পোস্ট ঘিরেও নানাবিধ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্দ্রাণুজ' এর ফেসবুকে দেশবিরোধী মন্তব্য এবং মাওবাদী সমর্থনে একাধিক পোস্ট জানিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন মহল এবং শাসকদল ও প্রশাসন রীতিমতো ক্ষিপ্ত। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে সংসদ দোলা সেন পরিষ্কার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী চাইলে খুব অল্প সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন এবং সব ঠান্ডা করে দিতে পারেন। কিন্তু আমাদের দিদি তেমন নন। আমরা হিংসাকে প্রশ্রয় দিই না"।
এদিন দেশ বাঁচাও গণ মাঞ্চের ডাকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ণেন্দু বসু বলেন, "যারা বলছে যাদবপুরে মুক্তমনা তাঁদের তো সকলকে জায়গা দেওয়া উচিত। তাহলে বাধা দিচ্ছে কেন? শিক্ষা ভদ্র আচরণের জন্য অভদ্র আচরণের জন্য নয়। শিক্ষাঙ্গনকে এরা ঘৃণঙ্গনে পরিণত করেছে"।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য বলেন, "যাদবপুরের এই ছাত্ররা শিক্ষাক্ষেত্রটাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। স্থায়ী উপাচার্য নেই বলে মৎসান্যয় চলতে পারেনা"।তিনি আরো বলেন, "যাদবপুর ও আরজিকর একই সূত্রে বাঁধা, এটা একটা ষড়যন্ত্র, বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পরিকল্পনা"।
এদিন সভা থেকে গায়ক সৈকত মিত্র বলেন, "ব্রাত্য বসু তো বিষয়টা মেনে নিয়েছিলেন, তারপরে কেন? এবার পরিবর্তনের প্রয়োজন। গোলমাল নয় তাল মিলের প্রয়োজন"।