একের পর এক এটিএম প্রতারনা। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অন্তত সাতটি এটিএম প্রতারণার ঘটনা হয়েছে গত তিন সপ্তাহে। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে একটি বড় সূত্র পেয়েছে। একটি নম্বরের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সেই নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। অনেকটা হেল্পলাইন বা এটিএম ইঞ্জিনিয়ারদের নম্বর বলে মনে হতে পারে। সেই ভাবে এই নির্দিষ্ট নম্বরটি আঠা দিয়ে আটকে দেওয়া হত এটিএমে। মূলত পাহারা বিহীন এটিএমগুলিকে টার্গেট করত দুষ্কৃতীরা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই মোবাইল সিমটি ঝাড়খণ্ডের গিরিডির এক বাসিন্দার নামে তোলা হয়েছিল। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই নম্বরটি সুইচড অফ রয়েছে। এস দিয়ে শুরু সেই ব্যক্তির নাম যার নামে তোলা হয়েছে এই সিম। তবে কি সন্দেহ হতে পারে এই আশঙ্কাতেই নম্বর বন্ধ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা?
কীভাবে তারা এই প্রতারণা করত? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ ধরনের ডিভাইস তারা মেশিনের উপরে রেখে দিত। বিশেষ ধরনের আঠা তারা ব্যবহার করত। এমনকী এটিএম কাউন্টারে উপস্থিত হয়ে তারা সাহায্যকারী হিসাবে এগিয়ে আসত। কিন্তু বাস্তবে তাদের ছকটি ছিল একেবারেই অন্য়রকম। এমনকী টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে তারা পিনটা শেয়ার করার জন্যও বলত। এরপর তারা ওই গ্রাহক এটিএম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সব টাকা তুলে নিত বলে অভিযোগ।
এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সার্ভে পার্ক কিংবা বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় যে এটিএম রয়েছে সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে দুষ্কৃতীরা এটিএমের কাউন্টারে লাগিয়ে রাখা নম্বর লেখা সেই পেপারটি ছিঁড়ে দিয়েছে।
সকলকে সতর্ক করে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে প্রহরাবিহীন এটিএমগুলি এড়িয়ে চলবেন। কোনওভাবেই এটিএমের গোপন নম্বর কারোর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। তবে এটিএম প্রতারণা চক্রের সঙ্গে বিহার ও ঝাড়খণ্ড যোগের ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ।
তবে এই এটিএম প্রতারণার সঙ্গে ঠিক কারা যুক্ত রয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশের কাছে এখন একটা বড় সূত্র হল ওই মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। তবে কিছুদিন ধরেই সেই নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। তবে পুলিশ মূলত এই ঘটনার পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের খোঁজ পেতে চাইছে। সেই সঙ্গেই এই ধরনের প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে সতর্ক হওয়ার জন্য পুলিশের তরফে বার বার আবেদন করা হচ্ছে।