• ‘যাদবপুর ইস্যুতে যাদবপুরে মিছিল, লোক আনতে হল নন্দীগ্রাম থেকে’, শুভেন্দুকে খোঁচা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ মার্চ ২০২৫
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। একাধিক অধ্যাপককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। আজ, রবিবার ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে উপাচার্য। এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে আঘাত পেয়েছেন ছাত্র ইন্দ্রানুস রায়। এই ঘটনা নিয়ে এবার পথে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি নেতা–কর্মীদের নিয়ে মিছিল করলেন তিনি। এমনকী মিছিল থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। তবে এই মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রাম থেকে লোক কলকাতায় নিয়ে এসে মিছিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন কুণাল।

    কুণাল ঘোষের অভিযোগ এবং খোঁচার প্রেক্ষিতে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। আজ, রবিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার নবীনা সিনেমা হলের সামনে থেকে বিজেপি মিছিল বের করে। এই মিছিল করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট আগেই পথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। সেই পথেই মিছিল হয়। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই মিছিল যাদবপুর থানার আগে শেষ হয়ে যায়। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ৭৫০ জনের বেশি মানুষ মিছিলে অংশ নিতে পারবে না বলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। তাই এখানে বিজেপি নেতারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন। তবে সেখানে নন্দীগ্রাম থেকে লোক আনা হয়েছিল বলে কুণালের দাবি।


    কুণাল ঘোষের এই দাবি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিজেপি নেতা মুখ খোলেননি। এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত একসপ্তাহ ধরে পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। ওয়েবকুপার সভায় যেভাবে বাম–অতিবাম সদস্যরা হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। আর ওই ছাত্র যিনি আঘাত পেয়েছেন তিনি গাড়িতে হামলা করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এই গোটা ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শাসক–বিরোধী তরজাও শুরু হয়েছে। আজ মিছিল থেকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। আর এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অচলাবস্থা চলছে তার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেদের নিশানা করেছেন তিনি।

    তবে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল থেকে তেমন কোনও জোরালো বার্তা উঠে আসেনি। এমনকী খুব যে ভিড় হয়েছিল সেটাও নয়। আর এই মিছিল শেষ হতেই পালটা খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‌বাসে করে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় মিছিল করার জন্য লোক নিয়ে আসা হয়েছিল। এই ঘটনাকে সামনে রেখে একাধিক অশুভশক্তি ফায়দা তুলতে নেমে পড়েছে। মানুষের কাছে এখন বিষয়টি ক্রমশ ধরা পড়ে যাচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ও অতি বামদের ন্যক্কারজনক রাজনীতি চলছে। তার সঙ্গে বিজেপির কুৎসিত রাজনীতি যোগ হয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)