• দোল যাত্রার প্রস্তুতি শুরু, রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ আনা হলো গোকুলচাঁদ মন্দিরে
    এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৫
  • এক বছরের অপেক্ষা শেষ! দোল যাত্রা উপলক্ষে পুলিশি নিরাপত্তায় জয়পুরের গোকুল নগরে নিজের মন্দিরে ফিরলেন গোকুলচাঁদ। রবিবার বিষ্ণুপুর মল্লরাজ বাড়ি থেকে জয়পুরের এই পুরোনো মন্দিরে গোকুলচাঁদ বিগ্রহকে আনা হয়।

    দেবোত্তর ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মল্লভূমের সবচেয়ে প্রাচীন রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ এই গোকুলচাঁদ। বর্তমানে গোকুলনগরের এই মন্দিরে নিত্য পূজাপাঠ, সন্ধ্যারতি ও ভোগ নিবেদন হয়। তবে নিরাপত্তার অভাবে প্রাচীন বিগ্রহ এতদিন মন্দিরে রাখা সম্ভব হয়নি। 

    সারা বছর বিষ্ণুপুর মল্ল রাজবাড়িতে বিগ্রহ রাখা হলেও দোলের আগে তাঁকে এই মন্দিরে আনা হয়। এ বারও সেই প্রাচীন প্রথা মেনে পুলিশি নিরাপত্তায় গোকুলচাঁদ মন্দিরে বিগ্রহকে নিয়ে আসা হলো।

    ট্রাস্টের সম্পাদক কালিশঙ্কর রায় বলেন, ‘গ্রামবাসীদের দাবি মেনে দীর্ঘ দিনের প্রথানুযায়ী মন্দিরে বিগ্রহ প্রবেশের আগে গ্রাম ষোলো আনার উদ্যোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। বর্তমানে দোল উৎসবের দিন গুলিতে মন্দিরেই রাখা হবে গোকুলচাঁদ বিগ্রহ।’ তবে সঠিক পুলিশি নিরাপত্তা পেলে আগামী দিনে বছরভর মন্দিরে বিগ্রহ রাখা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

    উল্লেখ্য, ল্যাটেরাইট বা মাকড়া পাথরে নির্মিত গোকুলচাঁদ মন্দির হল বাঁকুড়া জেলার বৃহত্তম পঞ্চরত্ন মন্দির। এই গোকুল নগরের মধ্যমণি হলেন গোকুল চাঁদ। আর বিষ্ণুপুরকে বলা হয় গুপ্ত বৃন্দাবন।  গোকুল চাঁদ মন্দিরের চারদিকে বেশ কয়েকটি প্রচীন শিব মন্দির রয়েছে। যেমন, গোকুলনগর মৌজার উত্তর পূর্ব দিকে রয়েছে গন্ধেশ্বর শিবের মন্দির, যেখানে বাঁকুড়া জেলার বৃহত্তম শিব লিঙ্গটি অবস্থিত। 

  • Link to this news (এই সময়)