• দোলে দিঘায় রেকর্ড বুকিং, খালি নেই মন্দারমনি
    এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, দিঘা: প্রায় এক বছর পর ছন্দে ফিরছে দিঘা। দোলের ছুটিতে রেকর্ড হোটেল বুকিং হয়েছে এ বার। এমনই তথ্য দিয়েছে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। ১৪ তারিখ দোল। তারপরের দিন হোলি। শুক্রবার থেকেই ছুটি পড়ে যাচ্ছে। পর পর তিন দিন টানা ছুটি। এই তিনদিনের ছুটি কাটাতে এ বার দিঘা–মন্দারমণিতে যেতে চাইছেন পর্যটকরা। সামনেই আবার রয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। সে সময়ে ভিড় আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করেই পর্যটকরা দোলের ছুটি কাটাতে দিঘায় আসতে চাইছেন বলে মনে করছেন হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন।

    হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরে দিঘায় তেমন ভাবে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল না। এক সময়ে বড়দিন থেকে বিশেষ বিশেষ ছুটির দিন এমন কী সপ্তাহান্তেও দিঘায় হোটেল পাওয়া যেত না। কিন্তু গত এক বছরে দিঘার পর্যটন ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। হোটেল–রিসর্টগুলিতে পর্যটকদের দেখা মিলছিল না। এই নিয়ে বেশ উদ্বেগে ছিলেন তাঁরা। শুধু দিঘা নয় মন্দারমণি–শঙ্করপুরেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এই তিন জায়গা মিলিতে মোট ৮০০ থেকে ১০০০টির মতো হোটেল–রিসর্ট রয়েছে।

    হোটেল মালিকদের অনেকের মতে দিঘা এবং মন্দারমণিতে একাধিক হোটেল–রিসর্ট ভাঙা পড়বে বলে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। সে কারণে অনেক পর্যটক আসেননি। আবার মহাকুম্ভের কারণেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। শীতকালে যেখানে দিঘায় হোটেল পাওয়া যেত না, সেখানে এবার মাছি তাড়িয়েছে হোটেল–রিসর্টগুলি। তবে দোলের জন্য যেভাবে বুকিং হয়েছে তাতে ফের দিঘার পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হয়ে উঠবে আলে আশা প্রকাশ করেছেন হোটেল মালিকরা। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে হোলি উপলক্ষে ৮০-৮৫ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে।

    বুধবারের মধ্যে ১০০ শতাংশ বুকিং হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তীর বলেন, ‘দোলের জন্য বেশিরভাগ হোটেল ফুল হয়ে গিয়েছে।’ ওল্ড দিঘার এক হোটেল মালিক দেবব্রত দাস বলেন, ‘হোলির বুকিং–এর পাশাপাশি মন্দির উদ্বোধনের জন্যে বুকিংয়ের ফোন আসছে।’

    এদিকে দোলে পর্যটকদের ভিড় সামাল দিয়ে নিরাপত্তাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, ‘ভিড়ের সম্ভাবনা মাথায় রেখে দিঘার রাস্তাঘাট জবরদখল মুক্ত করা হয়েছে।’ পুলিশ–প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দোলের দিন অতিরিক্ত পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েম করা হবে সৈকতে। ডিএসপি (ডিএন্ডটি) আবুনুর হোসন জানিয়েছেন, পিঙ্ক মোবাইল ,মহিলা পুলিশ সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েম করা হবে। এছাড়া শহর জুড়ে সিসিটিভির নজরদারি থাকছে। মদ্যপান করে কেউ যাতে সৈকতে ঘোরাফেরা না করেন সে দিকেও নজরদারি চালানো হবে।

  • Link to this news (এই সময়)