মর্মান্তিক বললেও কম বলা হয়। ভাত খেয়ে ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাবে। তাই সকালে ছেলের জন্য ভাত রান্না করছিলেন মা। রান্না করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মুহূর্তে সব শেষ। মায়ের নিথর দেহ বাড়িতে রেখেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন ছেলে। বাড়ি ফিরে মাকে দাহ করতে নিয়ে যাবেন তিনি। বোলপুরের শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত রূপপুরে সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষার্থীর মায়ের নাম অঞ্জু ভাদুড়ি (৪৩)।
পরীক্ষার্থীর নাম রূপঙ্কর ভাদুড়ি। তিনি এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে। বোলপুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে তাঁর সিট পড়েছে। অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও সকাল ৮টা নাগাদ স্নান সেরে তৈরি হচ্ছিলেন রূপঙ্কর। মা তখন রান্নাঘরে ছিলেন।
সূত্রের খবর, হঠাৎই মা প্রবল অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর শরীর ছেড়ে দেয়। কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ। মাকে ওই অবস্থায় দেখে ছেলেও দিশাহারা। এলাকার লোকজনই স্কুল কাউন্সিলে খবর দেন। স্কুলের শিক্ষকরা ওই ছাত্রের বাড়িতে যান। মায়ের মৃত্যুতে কান্নাকাটি করছিলেন রূপঙ্কর। শিক্ষকরাই তাঁকে সাহস জুগিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠান। চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রেত দিকে রওনা দেন।
উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের যুগ্ম আহ্বায়ক অভিজিৎ নন্দন বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই ছাত্রের বাড়িতে শিক্ষকদের পাঠিয়েছিলাম। অনেক বোঝানোর পরে তিনি রাজি হন পরীক্ষা দিতে। বাড়ি ফিরে মায়ের দেহ সৎকার করবেন পরীক্ষার্থী।'