• আপনার নামে সিমকার্ড তুলে কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? এই ওয়েবসাইটে ঢুকলেই পেয়ে যাবেন উত্তর ...
    আজকাল | ১০ মার্চ ২০২৫
  • বিভাস ভট্টাচার্য

    রামের নামে সিমকার্ড তুলে শ্যামের নানা কুকীর্তি। সিম জালিয়াতির একের পর এক ঘটনা মাঝেমাঝেই উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। দেখা যায় একজনের অজান্তেই সিমকার্ড তুলে আরেকজন ব্যবহার করে নানা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছে। বিষয়টি নজরে আসে তখনই যখন যার নামে সিমকার্ড তোলা হয়েছে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হাজির হয়। নানা তথ্য সামনে এনে ওই ব্যক্তিকে তখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে হয়। অথচ কুকীর্তিতে ব্যবহার করা এই সিমকার্ডের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।

    স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে কীভাবে একজনের নামে সিম আরেকজনের কাছে পৌঁছয়। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক এবিষয়ে বলেন, যখন কেউ সিমকার্ড তুলতে যাচ্ছেন তখন তাঁকে বেশকিছু 'ডকুমেন্ট' জমা দিতে হয়। যার থেকে এই সিমকার্ড তিনি নিতে যাচ্ছেন সেই ব্যক্তি যদি অসৎ হয় তবে সেই ডকুমেন্ট জেরক্স করে সে একই ডকুমেন্ট দিয়ে একাধিক সিমকার্ড তুলে নেবে। উদ্দেশ্য, অতিরিক্ত এই সিমকার্ড বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া। কারণ, অপরাধ ঘটাতে যে বা যারা সিমকার্ড ব্যবহার করবে তারা নিশ্চয়ই নিজের নামে যে সিমকার্ড রয়েছে সেই সিম ব্যবহার করবে না।

    এর পাশাপাশি আরও যে পদ্ধতিতে একই নামে একাধিক সিমকার্ড ব্যবহার করা হয় সেটা হল 'বায়োমেট্রিক' পদ্ধতির অপব্যবহার।‌ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ধরা যাক কেউ একজন গেল সিমকার্ড নিতে। এখানেও যদি ব্যবসাদার অসৎ হয় তবে সে ওই গ্রাহকের একাধিক বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ নেবে। গ্রাহককে বোঝাতে বলবে প্রথমটি ঠিকঠাক হয়নি তাই দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার নিতে হল। কম্পিউটারের স্ক্রিন থাকে গ্রাহকের উল্টোদিকে। ফলে গ্রাহক বুঝতে পারেন না ছাপ ঠিকঠাক উঠল কিনা। এরপরেই ওই বায়োমেট্রিক প্রমাণ ব্যবহার করে আরও একটি বা দুটি সিমকার্ড তুলে সেই কার্ড চড়াদামে বিক্রি করে দেয় ওই ব্যবসায়ী।

    স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে নিরীহ গ্রাহক কীভাবে জানতে পারবেন তাঁর অজান্তে তাঁর নামে অন্য কেউ সিমকার্ড ব্যবহার করছে কিনা। অবশ্যই জানা সম্ভব। ভারতীয় টেলি যোগাযোগ মন্ত্রকের একটি ওয়েবসাইটে ঢুকলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই সাইটটি হল tafcop.sancharsaathi.gov.in। গুগলে গিয়ে টাইপ করলেই সাইটটি খুলে যাবে।  এরপর নিজের মোবাইল নম্বর ও অন্যান্য বিষয়গুলি সাইটের নির্দেশ মতো 'ফলো' করলেই জেনে যাওয়া যাবে গ্রাহকের অজান্তে তাঁর নামে অন্য কেউ সিমকার্ড ব্যবহার করছে কিনা। সেরকম হলে ঘরে বসেই ওই সাইটের মাধ্যমে বাকি নম্বরগুলি সম্পর্কে রিপোর্ট করে দেওয়া যাবে‌। এরজন্য কোনও মেইল বা হাতে লিখে কিছু আবেদনও করার দরকার পড়বে না।
  • Link to this news (আজকাল)