প্রসেনজিৎ সর্দার: ছোটদের খেলার দ্বন্দ্বে রক্তাক্ত সংঘর্ষ। একই পরিবারের ৬ জনকে কোপানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙরের চন্দনেশ্বর থানার মলি মুকুন্দী গ্রামে।
কী ঘটেছিল?
খেলার সময়ে হারান মোল্লার পরিবারের ছেলে ও লায়েপ মোল্লার পরিবারের ছেলের মধ্যে বিবাদ বাধে। দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে লায়েপ মোল্লার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হারান মোল্লার পরিবারের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
নাবালক-সহ ৬ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এবং কোপানো হয়। আহতদের মধ্যে একজন নাবালকের অবস্থা গুরুতর বলে অভিযোগ। আহতদের প্রথমে নলমুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালক-সহ একজনকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে চন্দনেশ্বর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তদন্ত শুরু করে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা।
এদিকে দুদিন আগেই এক বিয়েবাড়িতে কোপানোর অভিযোগ উঠল। বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে এসে বরপক্ষের সঙ্গে কনেপক্ষের হাতাহাতি, ভাঙচুর, মৃত্যু কনেপক্ষের যুবকের, বন্ধ হল বিয়ে। গুলি করে খুন করা হয়েছে অভিযোগ কনেপক্ষের। উত্তপ্ত দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার ভ্যাম্বে কলোনি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত যুবকের নাম আর্টিস্ট বেদ (১৮)। পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা। গ্রেফতার ৩।
শনিবার দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার ভ্যাম্বে কলোনিতে ওই বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানটি ছিল। বিয়েবাড়িতে বরাকর থেকে বরযাত্রীরা এসেছিলেন। বরযাত্রীরা আসার কিছুক্ষণ পরেই বিয়েবাড়ির ডান্স স্টেজে গান পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। জানা যায়, বরপক্ষের কথা শুনে গান পরিবর্তন করতে নাকি রাজি হননি কনের বাড়ির লোকজন। এরপরই শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের হাতাহাতি।
অভিযোগ, ঠিক এইসময়ে কনের বাড়ির আত্মীয় আর্টিস্ট বেদ নামের এক তরুণকে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে বরপক্ষের লোকজন। কনের বাবা জাদুকর বেদের অভিযোগ, 'আর্টিস্ট বেদ আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। বরযাত্রীরা আসার পরে তাঁরা ওঁর উপর হামলা চালান। আমি শুনেছি, তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। আমরা এর শাস্তি চাইছি। এই ঘটনার জন্য মেয়ের বিয়েও বন্ধ হয়েছে!' কনের মামা অবিনাশ বেদের অভিযোগ, 'বরযাত্রীর লোকেরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছেন। আমার ভাগ্নেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাইছি।'
যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় বলেন, 'কোনো গুলি চলেনি। একটি ঘটনা ঘটেছে। মৃত যুবকের বুকে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে, কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।'