অর্কদীপ্ত মুখার্জি: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট। সেই গেট দিয়ে ঢুকেই ডানদিকে পড়ে টেকনোলজি ভবন। সেই বিল্ডিং-এর দেওয়ালের গায়েই 'আজাদ কাশ্মীরে'র ডাক। যা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারা এই দেওয়াল লিখল? তাদের পরিচয় কী? উত্তর অজানা। সবটাই তীব্র ধোঁয়াশা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি তীর্থরাজ বর্ধন এই বিষয়ে তোপ দেগে বলেন, যেহেতু যাদবপুরে পুলিসের ঢোকার অনুমতি নেই, তাই দেশবিরোধীরা নিজেদে আস্তানা বানিয়ে রেখেছে যাদবপুরকে। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। কী করে আজাদ কাশ্মীরের দাবি করে শহরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়াল লিখন হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, আজ-ই ছাত্র সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে লেখা আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। দেওয়াল লিখনে মুক্ত প্যালেস্তাইনেরও দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় চাপা পড়ে এক পড়ুয়া আহত হন বলে পালটা অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই।