ছাব্বিশের আগে শুভেন্দু গড়ে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ হলদিয়ার বিজেপি বিধায়কের
প্রতিদিন | ১০ মার্চ ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বিজেপিতে ভাঙন। এবার পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। বিধানসভা থেকেই তৃণমূল ভবনে চলে যান তিনি। যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাপসী মণ্ডল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন তিনি। ২০২১-এর নির্বাচনের আগে সুরবদল করেন তাপসী। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দল বদলে প্রার্থী হয়ে জিতেওছিলেন তাপসী। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে ফের দল বদলালেন তাপসী। সোমবার সকালে বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন তিনি। হঠাৎই সেখান থেকে বেরিয়ে এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে হাজির হন তৃণমূল ভবনে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পাশে বসে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। তৃণমূলে যোগদানের পরই তাপসী বলেন, “প্রগতিশীল বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি চলছে। তবে মানুষ তা প্রত্যাখ্য়ান করছে। আমার পক্ষেও বিভাজনের রাজনীতি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সেই জন্যই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। প্রগতিশীল বাংলাকে রক্ষা করতে, মূলত হলদিয়ার মানুষের জন্য কাজ করতেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হলাম। তাঁর নির্দেশেই আগামীতে মানুষের জন্য কাজ করব।” আগামীতে সুন্দর বাংলা তৈরির প্রতিশ্রুতিও দিলেন তাপসী।
উল্লেখ্য, হলদিয়া দীর্ঘদিন ধরেই তাপসী মণ্ডলের এলাকা। দু’বারের বিধায়ক তিনি। ভোটের আগে তাঁর এই ফুল বদল বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন এই দলবদল? শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন আগেই নাকি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাপসী মণ্ডলের। তার একাধিক দায়িত্ব থেকে নাকি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দলের অন্দরেই সেই সমস্যা মেটানোরও চেষ্টা করা হয়েছিল বলে খবর। তাতে লাভ না হওয়ার জেরেই এই দলবদলের সিদ্ধান্ত। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ কোনও বিধায়কই আর জেলা সভাপতি পদে থাকবেন না। সেই কারণেই নাকি দলবদল। শুভেন্দুর দাবি, তাপসী মণ্ডল দল ছাড়বেন তা নাকি আগেই জানা ছিল তাঁদের। তবে গোটা ঘটনায় একটাই প্রশ্ন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়া থেকে তাপসীকেই টিকিট দেবে তৃণমূল?