আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ ৪ বিজেপি বিধায়ককে, এবার মার্শাল দিয়ে বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষকে বার করে দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে এই ঘটনার পর বিধানসভা চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। শংকরবাবু বলেন, রেফারি ম্যানেজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মাঠ খালি করতে এই কাজ করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে রাজ্য বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খড়গপুরের বিজেপি সাংসদ হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বক্তব্যের মাঝে তাঁকে থামিয়ে স্পিকার বলেন, এসব বলে কোনও লাভ হবে না। জবাবে হিরণ বলেন, কীসে লাভ হবে আর কীসে হবে না সেটা আমি বুঝব। অভিযোগ, এর পর হিরণের জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মাইকের সুইচ বন্ধ করে দেন। এর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার অন্দরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ ও বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ। এর পর স্পিকার তাঁদের বলেন, আপনারা এরকম করতে পারেন না। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি শংকরবাবু ও মনোজবাবু। এতে মার্শালদের ওই ২ বিধায়ককে বিধানসভা থেকে বার করে দিতে নির্দেশ দেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর শংকর ঘোষ ও মনোজ ওরাওঁকে বিধানসভা কক্ষ থেকে বার করে দেন মার্শালরা।
অধ্যক্ষের এই পদক্ষেপে শংকরবাবু ও মনোজবাবুর সঙ্গে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন অন্য বিজেপি বিধায়করাও। বিধানসভা চত্বরে নথি ছিঁড়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শংকর ঘোষ বলেন, ‘মাঠে বিরোধী দলনেতাসহ বিরোধী প্লেয়ার থাকা চলবে না। তাই খালি মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে খেলতে পারেন তাই রেফারি ম্যানেজ করে বিরোধী দলনেতা আমিসহ অন্যদের সাসপেন্ড করা, মাইক বন্ধ করে দেওয়া, মার্শাল দিয়ে বার করে দেওয়া হচ্ছে। এরাজ্যে বিধানসভার বাইরের গণতন্ত্র ও ভিতরের গণতন্ত্রের একই অবস্থা। এরাজ্যে গণতন্ত্র হত্যা হচ্ছে। গুন্ডা, মার্শাল দিয়ে রাজ্য চালাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’