• মহিলা বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা কিনা জানতে আলিপুর জেলে চালু হল প্রেগনেন্সি টেস্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ মার্চ ২০২৫
  • রাজ্যের সংশোধনাগারের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাচ্ছেন মহিলা বন্দিরা। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল সংশোধনাগারে বন্দি থাকা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। তারপরেই মহিলা বন্দিদের নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার সংশোধনাগারে মহিলা বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন কিনা তা জানতে চালু হল প্রেগনেন্সি টেস্ট। আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে এই প্রেগনেন্সি টেস্ট প্রথম চালু হল।


    জেল সূত্রের খবর, গত ২ মাস ধরে মহিলা বন্দিদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের উপস্থিতিতে সপ্তাহে প্রতিদিনই এই পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে মূলত তিন ধরনের বন্দিদের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি টেস্টে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। যারা বাইরে থেকে সংশোধনাগারে ঢুকছেন, যারা প্যারোলে বেরিয়ে সংশোধনাগারে ফিরছেন এবং বিচারাধীন মহিলা বন্দি যারা আদালতে হাজিরা দিয়ে সংশোধনাগারে ফিরছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিদিন সাত থেকে আট জন মহিলা বন্দির পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জেল সূত্রে জানা গিয়েছে।


    যদিও আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় মহিলা বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন বা স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ থাকে না। তবে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে যেভাবে বিতর্ক শুরু হয়েছিল তাতে আর কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না জেলের আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারগুলির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে ২০১৭ সালে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলার সূত্রেই সব সংশোধনাগার পরিদর্শন করে আদালতে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ আদালতবান্ধবকে দেওয়া হয়। সেই রিপোর্টেই উঠে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য সংশোধনাগারগুলিতে মহিলা বন্দিদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। তারপরে মহিলা সংশোধনাগার এবং নাবালিকাদের থাকা হোমগুলিতে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। পরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সমস্ত রাজ্যকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলে।

    গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্টে আদালত বান্ধবের জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক কারাগারে অন্তত ১৯৬টি শিশু তাদের মায়ের সঙ্গে রয়েছে। তাদের পিতৃ পরিচয় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এছাড়াও মহিলা বন্দিদের গর্ভবতী হওয়ার কথাও জানানো হয়। আদালত বান্ধব জানান, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারেও এক জন বন্দি গর্ভবতী। যদিও পরে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, প্যারোলে থাকাকালীন বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে জেলে তাঁরা প্রসব করেন। এই ঘটনায় যাতে আর নতুন করে বিতর্ক তৈরি না হয় তার জন্যই আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে শুরু হয়েছে পরীক্ষা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)