বীরভূমের সিউড়িতে সোনার দোকানে এসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা কল্যাণী গড়াই এবং তাঁর বউমা। অভিযোগ, সুযোগ বুঝেই কয়েকটি সোনার নাকছাবি মুখে পুরে নেন তিনি। কিছুক্ষণ পর সোনা খোয়া গেছে বুঝে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন মালিক। তাতেই ফাঁস হয়ে যায় বছর ৫৫-র কল্যাণীর কুকীর্তি। যদিও ধরা পড়তেই তিনি দাবি করে বসেন, ‘আমি পাগল’। তবে তা মানতে রাজি হননি দোকানের মালিক। তিনি পুলিশে খবর দেন। ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় সোমবার দিনভর তপ্ত রইল সিউড়ি।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রানিশ্বর লাগোয়া হকিকতপুরের বাসিন্দা কল্যাণী। তিনি সোমবার বউমাকে নিয়ে সিউড়িতে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। এর পর তিনি তাঁকে নিয়ে সিউড়ির টিন বাজারে একটি সোনার দোকানে যান। অভিযোগ, সেখানেই গয়না দেখার ফাঁকে বেশ কয়েকটি সোনার নাকছাবি তিনি মুখে পুরে নেন।
কিছুক্ষণ পর সোনা দোকানের মালিক বুঝতে পারেন কয়েকটি নাকছাবির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরেই তিনি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরে বুঝতে পারেন নাকছাবিগুলি মুখে পুরে রেখেছেন কল্যাণী। এর পর শাশুড়ি বউমাকে দোকানে আটক করে খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানায়।
কল্যাণী দাবি করেন, তাঁর মাথার ঠিক নেই। মানসিক সমস্যার কারণেই তিনি ওই সোনাগুলি মুখের মধ্যে পুরে দিয়েছিলেন। যদিও দোকানের মালিক তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ছক কষেই কল্যাণী দোকানে চুরি করতে এসেছিলেন। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন দোকানের মালিক। পুলিশ জানাচ্ছে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।