আটতলা অবৈধ বিল্ডিং ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলতে হবে মালিককেই। বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ বর্ধমান পুরসভার। এই মর্মে দেওয়া হলো নোটিসও। নোটিস মেনে কাজ না হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে পুরসভা। যদিও ওই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, পুরসভার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বর্ধমানের কালীবাজার মোড়ের কাছে জি টি রোডের পাশে গড়ে উঠেছে একটি আটতলা বিল্ডিং। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বিল্ডিংটির ইটের গাঁথনিটুকু রয়েছে। বর্ধমান পুরসভার অভিযোগ, এই বিল্ডিংটি কোনও অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ৩ ডিসেম্বর বর্ধমান পুরসভার আধিকারিকরা ওই বিল্ডিং পরিদর্শনে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার। কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে বিল্ডিংয়ের গায়ে নোটিস টাঙিয়ে দেয় পুরসভা। পাশাপাশি মালিককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-সহ ডেকে পাঠান বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান।
পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকারের অভিযোগ, বিল্ডিং মালিক এর পরেও কাগজ নিয়ে দেখা করেননি। এই বিল্ডিংটির কোনও অনুমতি রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্রও দেখাননি। এর পর ওই গোটা বিল্ডিংটিই ভেঙে ফেলার নোটিস দেয় পুরসভা। ১৫ দিনের মধ্যে বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হবে মালিককেই, নির্দেশ পুরসভার। পরেশচন্দ্র সরকার জানান, বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার জন্য কড়া পুরসভা। বেআইনি ভাবে কোনও নির্মাণ করা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না।
যদিও বাড়ির মালিক তুহিনকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি পাল্টা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালত যে নির্দেশ দেবে তা শিরোধার্য হবে।