এই সময় ময়নাগুড়ি: জঙ্গল ছেড়ে পায়ে বেড়ি থাকা অবস্থায় মিতালি কী ভাবে লোকালয়ে এল, তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর। রবিবারও প্রতিদিনের মতো রুটিন মাফিক কাজ করেছে সে। মাহুতের সঙ্গে কোনও ঝামেলা করেনি। ঘটনার পরেই জলপাইগুড়ি বনবিভাগের নাথুয়া রেঞ্জের অফিসার শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদার তদন্ত শুরু করেছেন।
পরিবেশবিদ অনিমেষ বসু অবশ্য জানিয়েছেন, কুনকিদের অধিকাংশ সময়ে কাটে জঙ্গলে নজরদারিতে কিংবা পিলখানায়। মাঝে মধ্যে খোলামেলা ভাবে বিচরণ করতে পছন্দ করে। সেই কারণে সম্ভবত হাতিটি লোকালয়ে চলে এসেছিল।
তবে মাহুত কিংবা বনকর্মীদের অনুপস্থিতিতে লোকালয়ে চলে আসায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। বনকর্মীদের আরও সতর্ক থাকা উচিত। এ দিন জঙ্গলে রুটিন নজরদারির পরে বিকেলে মিতালিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নাথুয়া রেঞ্জের গধেয়ারকুঠি বিটের পিলখানায়। তার দেখভালে থাকা মাহুত ও বনকর্মীকে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে।
শনিবার মাহুত ও বনকর্মীদের নজরদারি এড়িয়ে হাতিটি লোকালয়ে চলে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ময়নাগুড়ির পানবাড়িতে। যদিও পরবর্তীতে হাতিটিকে বিটে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কয়েক বছর আগে জলদাপাড়া থেকে জলপাইগুড়ি বনবিভাগের আওতাধীন নাথুয়া রেঞ্জের গধেয়ারকুঠি বিটে নিয়ে আসা হয়েছিলো মিতালি নামের ওই স্ত্রী কুনকি হাতিকে।
প্রতিদিনই বনকর্মীরা জঙ্গল সুরক্ষার কাজে মিতালিকে নিয়ে নজরদারি চালান। রুটিন টহলদারির পাশাপাশি হাতিকে নিয়ে খাবার খুঁজতে যান মাহুত ও বনকর্মীরা। শনিবারও তেমনটাই ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। হাতিটিকে স্নানের আগে ঘাসবনে চরাতে নিয়ে এসে কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিলেন মাহুত।
তাঁর অনুপস্থিতিতে হাতিটি জলঢাকা ও মূর্তি নদী পেরিয়ে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে। ঘণ্টা দু’য়েক পরে মাহুত ও বনকর্মীরা হাতিটিকে ফেরত নিয়ে যায়। তবে অসাবধানতার কারণে শনিবার বড় বিপত্তি ঘটতে পারত বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
কী ভাবে হাতিটি মাহুত ও বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে লোকালয়ে চলে এল, সেই কারণে তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর। জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডিএফও বিকাশ ভি বলেন, ‘এই মুহুর্তে মিতালির আচরণ স্বাভাবিকই রয়েছে। গধেয়ারকুঠি বিটের পিলখানায় মাহুতের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে সে। এ দিনও রুটিন মাফিক কাজ করেছে।’