২২ দিনের লড়াই শেষ। মৃত্যু হলো রাজ্যের প্রথম ট্রাইপ্যানোসোমায় আক্রান্ত হস্তিশাবকের। সোমবার দুপুরে বাগডোগরার টাইপু বিটে মারা যায় হাতিটি। শাবকটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য থাইল্যান্ড থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছিল। কিন্তু বন দপ্তরের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাগডোগরার বেঙডুবি জঙ্গলে প্রথম হস্তিশাবকটিকে দেখতে পান সেনারা। অসুস্থ ওই শাবকটিকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে আনেন তাঁরা। শুরু হয় চিকিৎসা। জানা যায় বিরল প্রোটোজ়োয়া সংক্রমণে আক্রান্ত সে। মূলত গবাদি পশুর শরীরে এই ধরনের সংক্রমণ হয়। তবে বুনো জন্তুর এমন সংক্রমণের নমুনা উত্তরবঙ্গে অতীতে মেলেনি।
বাগডোগরার হস্তিশাবককে বাঁচাতে বিশাল কর্মযজ্ঞের আয়োজন করেছিল বন দপ্তর। ট্রাইপ্যানোসোমায় আক্রান্ত প্রাণীর প্রবল জ্বর হয়। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় তারা। ক্রমে দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সেপটিসেমিয়া। এ ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমন দিকেই গড়ায়।
উত্তরবঙ্গে অসম সীমানা লাগোয়া সঙ্কোশ থেকে নেপাল সীমান্তের মেচি পর্যন্ত বিশাল বনাঞ্চলে আজ পর্যন্ত ট্রাইপ্যানোসোমায় আক্রান্ত কোনও প্রাণীর সন্ধান পাননি বনকর্মীরা। ফলে বাগডোগরার এই হস্তিশাবকটি কী করে সংক্রমিত হলো সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বাগডোগরার জঙ্গলে সারা বছর বুনো হাতির পাল ঘোরাঘুরি করে। ফলে একটিই হাতি সংক্রমিত হয়েছে না কি সংক্রমণ অন্য প্রাণীদের মধ্যে ছড়িয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখতে কার্শিয়াং বন দপ্তর থেকে নজরদারি শুরু হয়েছে। ট্রাইপ্যানোসোমায় আক্রান্ত কোনও গবাদিপশু জঙ্গলে ঢুকে রোগ ছড়িয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।