• নবান্নে নওশাদ, হঠাত্ কেন মমতার কাছে ভাঙড়ের বিধায়ক?
    ২৪ ঘন্টা | ১১ মার্চ ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আচমকাই নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সোমবার মমতা-নওশাদ সাক্ষাতে তৈরি হচ্ছিল নতুন রাজনৈতিক জল্পনা। তৃণমূল যোগ দেওয়ার সেই জল্পনা ওড়ালেন নওশাদ। বললেন, রাজ্যের অভিভাবিকার কাছে গিয়েছিলাম। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নওশাদের সমালোচনায় মুখর হতেন তাতে মিটল কি দূরত্ব?

    ভাঙড়ের মত একসময়ের তৃণমূলের গড়ে আইএসএফের পতাকা ওড়াতে পেরেছেন ফুরফুরার ভাইজান। এখনও বেশ দাপটের সঙ্গেই রয়েছেন সেখানে। আজ বিধানসভায় নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, বিধায়ক তহবিলের টাকা তিনি ভাঙড়ে ব্যবহার করতে পারছেন না।  এরকম এক পরিস্থিতিতে নবান্নে প্রায় মিনিট কুড়ি মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে এসে নওশাদ বলেন, প্রায় ২০-২২ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। বিধানসভায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে কথাটা তুলেছিলাম। উনি কোনও উত্তর দেননি। আমি একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। উন্নয়নের জন্য যে টাকা পাই তা যদি খরচ করতে না পারি তাহলে আমাকে ব্যর্থ হিসেবে দেখানো হবে। তাই কীভাবে ওই টাকা ব্যবহার করা যায় তার ব্যবস্থা করা হোক।

    নওশাদ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সব কথা শুনেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন যে উনি কথা বলে নেবেন। বিধায়ক ফান্ডের যে গাইডলাইন রয়েছে তার বাইরে যদি কিছু হয় তাহলে সেটা দেখব।

    হঠাত্ কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসা? নওসাদ সিদ্দিকি বলেন, আমি তো তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের কাছে আসিনি। রাজ্যের ২৯৪ আসনের আসনের অভিভাবিকা উনি। রাজ্যের অভিভাবিকা। সরকারের প্রধান এবং ভাঙড়েরও অভিভাবিকা উনি। সুযোগ পেয়েছিলাম। ভাঙড়ের আরও কিছু উন্নয়নের কথা বলে নিয়েছি। উনি শোনার চেষ্টা করেছেন, বোঝার চেষ্টাও করেছেন। কাগজপত্র দিয়ে বুঝিয়েছি। উনি আমাকে বলেছেন গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ হবে।

    উল্লেখ্য, তাঁর বিধানসভা এলাকায় তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকা ঠিকঠাক ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ নিয়েই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আর্জি জানিয়েছিলেন। তারপরেই তিনি আজ নবান্নে যান। কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)