• পিসিশাশুড়ির খুনে ধৃত ফাল্গুনীর বাবার মৃত্যু নিয়েও রহস্য? বিস্ফোরক শ্বশুর
    এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৫
  • মধ্যমগ্রামে পিসিশাশুড়ি খুনের ঘটনায় যত তদন্তে এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে নানা তথ্য। এ বার খুনে অভিযুক্ত আরতি এবং তার মেয়ে ফাল্গুনীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুললেন, ফাল্গুনীর শ্বশুর সুবল ঘোষ। খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুবলকে ডেকেছিল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। অসমের জোরহাটে বাড়ি সুবল ঘোষের পরিবারের। সেখান থেকেই এ দিন মধ্যমগ্রাম থানায় আসেন তিনি এবং তাঁর কিছু আত্মীয়। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল সুবল ঘোষ। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তিনি।

    সুবল ঘোষের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ফাল্গুনীর। কিন্তু ফাল্গুনীর নানা দোষের কারণেই তাঁর ছেলে সংসার করতে পারেনি বলে অভিযোগ সুবলের। এর আগেও ছেলের বউয়ের নিয়মিত মদ্যপানের বিষয়টি নিয়ে ফের মুখ খোলেন শ্বশুর সুবল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল, আমি এই মেয়েকেই ছেলের বউ করে এনেছিলাম।’ নিজের সন্তানের দাম্পত্য জীবন নষ্টের জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করতেও শোনা যায় তাঁকে। সুবলের দাবি, গোটা ঘটনায় তাঁরা মাথা ঘামাতে চান না। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় যারা দোষী তাদের চরম সাজা চেয়েছেন তিনি।

    এ দিন ফাল্গুনীকে আরও তিন দিনের জন্য পুলিশ হেফাজত দেয় বিচারক। তবে মা আরতী দেবীকে আগেই জেল হেফাজতেই পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফাল্গুনীর বাবার মৃত্যু নিয়েও এ দিন বিস্ফোরক দাবি করেন সুবল। তিনি জানান, ২০১৮ সালে ম্যাট্রিমনি সাইটে ফাল্গুনীর খোঁজ মেলে। তারপর দেখে শুনেই ছেলে শুভঙ্করের সঙ্গে ফাল্গুনীর বিয়ে হয়। সুবলের দাবি, তখন জানানো হয়েছিল ফাল্গুনীর বাবার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই মেয়ে ফাল্গুনী টিউশনি করে ও মা আরতী দেবী ফিজিওথেরাপির টুকটাক কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু, সুবলের দাবি, তিনি শুনেছেন বাবার দেহ শ্মশানে দাহ করতে যাওয়ার সময় একটি ঝামেলা হয়েছিল। সেটা সামলাতে আসতে হয়েছিল পুলিশকেও। ফাল্গুনীর বাবার মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কয়েকদিন আগেই কুমোরটুলি ঘাটে ট্রলিতে এনে দেহ ফেলতে এনে ধরা পড়ে ফাল্গুনী ও আরতি। তদন্তে জানা যায়, মধ্যমগ্রামে পিসিশাশুড়িকে খুন করে, গোড়ালি কেটে ট্রলিতে ঢুকিয়ে লোপাট করার তালে ছিল তারা।

  • Link to this news (এই সময়)