হাওড়ার পাঁচলায় ১৬ নং জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড দিন দিন সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের পাশে কোথাও বেআইনিভাবে পার্কিং করা আছে পণ্যবাহী গাড়ি, আবার কোথাও ডাঁই করে রাখা আছে ইমারতি দ্রব্য। এম জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের একাধিক কারখানার গাড়ি যাতায়তের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ।
এম জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সার্ভিস রোডের অর্ধেক রাস্তা জুড়ে বেআইনি পার্কিং-এর কারণে পার্কে গাড়ি প্রবেশ বা বের হওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পার্কে থাকা বিভিন্ন কারখানায় কাজ করা কর্মচারীরাও মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। ইতিমধ্যে এম জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপার, বিডিও-সহ বিভিন্ন দপ্তরে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
১৬ নং জাতীয় সড়কের পাঁচলা থানার ধামসিমা এলাকায় কোলাঘাটমুখী সার্ভিস রোডের পাশেই কয়েক একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠেছে এম জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। ছোটবড় মিলিয়ে একাধিক কারখানা আছে এই ইন্ডাস্ট্র্রিয়াল পার্কে। বর্তমানে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সামনে দিয়ে যাওয়া সার্ভিস রোডে যানবাহন চলাচল অসুবিধাজনক হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, পানিয়াড়া থেকে ধামসিয়া পর্যন্ত সার্ভিস রোডের অর্ধেক অংশ জুড়ে বেআইনি পার্কিং, রাস্তা জুড়ে ইমারতি দ্রব্য-সহ বিভিন্ন জিনিস জমা করে রাখার কারণে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বিভিন্ন যানবাহন প্রবেশ করতে এবং বের হতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ছোট যানবাহন চালকদের অভিযোগ, রানহাটি মোড় থেকে কুলগাছিয়া পর্যন্ত এই সমস্যা চরম আকার নিয়েছে।
এম জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুনীল কুমার ঝুনঝুনওয়ালা দাবি করেন, সার্ভিস রোডের পাশে বেআইনি পার্কিং এবং বিভিন্ন জিনিস জমা করে রাখাটা এখন আমাদের কাছে মাথাব্যথার অন্যতম বড় কারণ। ব্যাবসার স্বার্থে অবিলম্বে সমস্যার সমাধানের দাবি জানান তিনি। সার্ভিস রোডের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিলেও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিক অশোক কুমার পয়রার দাবি, সমস্যা সমাধানে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে। সার্ভিস রোডের এই সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার সুবিমল পাল।