একাধিক ছোট ছোট ঘর। কালেভদ্রে সেখানে পৌঁছয় সূর্যের আলো। কারণ দরজা জানালাও সমস্ত বন্ধ। আর সেই অন্ধকার ঘরেই মজুত করে রাখা হতো কেজি কেজি গাঁজা? সোমবার এই চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ।
হুগলির পাণ্ডুয়ায় ধরা পড়ল বড়সড় গাঁজা পাচারচক্র। ১০৩ কেজি গাঁজা-সহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে নগদ ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, ওডিশা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাণ্ডুয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে ওডিশা থেকে আনা বিপুল পরিমাণ গাঁজা-সহ সোমবার সাতজনকে গ্রেপ্তার করে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। ধৃতদের থেকে বিপুল নগদও উদ্ধার হয়েছে, যার কোনও হিসাব তাঁরা দেখাতে পারেননি। আটক করা হয়েছে ৪টি চারচাকা গাড়িও।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পাণ্ডুয়ার মণ্ডলায় একটি গোডাউনে গাঁজা মজুত করা হতো। সেই গোডাউনের মালিক ছোটু লাল সাউ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানান, গাঁজা পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেই খবর পুলিশের কাছে ছিল। সেইমতো মগরা থানা এবং পাণ্ডুয়া থানাকে সতর্ক করা হয়। চারটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। জামগ্রামে গাড়িগুলি ঢুকতেই সে গুলিকে আটক করা হয়। সেই গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ১০৩ কেজি গাঁজা। ঘটনায় ১ মহিলা-সহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছোটু লাল সাউয়ের সেই ঘুটঘুটে অন্ধকার গোডাউনই কি ছিল গাঁজা পাচারের এপিসেন্টার? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।