• হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন ইন্দ্রানুজ, কী বলছেন বাবা? বিল মেটাবে কে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ মার্চ ২০২৫
  • ১০ দিনের মাথায় কেপিসি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ইন্দ্রানুজ রায়। চোখের পাশের সেলাই কাটা হয়েছে। পায়ে এখনও ব্যান্ডেজ রয়েছে। ভালো করে হাঁটতে পারছেন না। হুইল চেয়ারে নিয়ে এসে স্ট্রেচারে তোলা হয়। এরপর সেখান থেকে অ্য়াম্বুল্যান্সে। সেখান থেকে সোজা বাড়ি। আপাতত বাড়িতেই রেস্টে থাকতে হবে ইন্দ্রানুজকে। 

    ইন্দ্রানুজ রায় আহত হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায়। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। চোখের পাশে মারাত্মক আঘাত লেগেছিল। সেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আপাতত তাঁকে সপ্তাহ দুয়েক বিশ্রামে থাকতে হবে। সোমবার ইন্দ্রানুজের বাবা অমিত রায় ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। 

    ইন্দ্রানুজের বাবা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখন ওর বেডরেস্ট। ক্ষতর জায়গাটা নিয়মিত ড্রেসিং করতে হবে। তার জন্য প্রশিক্ষিত নার্স রয়েছেন। ওর বাঁ পায়ে যে আঘাত লেগেছিল সেকারণে নড়াচড়া করা যাবে না। ওর চিকিৎসার বিল হাসপাতাল থেকে পাঠানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। তারাই এর খরচ দেবেন। 

    সেই সঙ্গে ফের তিনি আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে বাড়ি ফিরল। উপাচার্যও বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। কিন্তু আসল ইস্যুটা থেকে দৃষ্টি ঘুরে গিয়েছে। এই যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ক্যাম্পাসে সুস্থ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সুরক্ষা এসব নিয়ে যে দাবি দাওয়া ছিল ছাত্র ছাত্রীদের সেটা আড়ালে চলে গিয়েছে। এবার কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা আলোচনায় বসুন। উপাচার্য, অধ্য়াপক, ছাত্রছাত্রীরা সকলে মিলে আলোচনার মাধ্য়মে সমাধানের পথে বের করুন। এটাই একমাত্র সহজ সমাধান। 

    আপাতত কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে ইন্দ্রানুজকে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ। তবে ফের আলোচনায় বসার ব্যাপারে আহ্বান করলেন ইন্দ্রানুজের বাবা। এর আগেও তিনি সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    তিনি আগেও বলেছিলেন, ছাত্রদের দাবি অত্যন্ত জরুরী দাবি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে জড়িত যে দাবি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক পথে এই দাবি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হোক। তিনি জানিয়েছেন, ভিসি, প্রোভিসি যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। যত দ্রুত আলোচনার দরজা খোলা যাবে ততই জটিলতা কাটবে। যে কোনও বিষয় আলোচনার মাধ্যমে জট কাটবে। সেই সঙ্গেই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হোক।

    তবে এই ইন্দ্রানুজের বাবাকেই এর আগে বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, গাড়িটা ইচ্ছাকৃতভাবে মারেনি। বাইট দিয়ে বলেছেন ইন্দ্রানুজের মা। আর আপনি আবার প্রতিবাদীদের মিছিলে হাঁটছেন। দ্বিচারিতা করছে। ছেলের ছবি ভাঙিয়ে প্রচার নিচ্ছেন নিজেদের। আপনারা বামপন্থী পরিবার জানি। ছবি দেখিয়ে নিজের প্রচার নেবেন না। আপনার স্ত্রী বলবেন যে ব্রাত্যর গাড়িতে ইচ্ছাকৃতভাবে মারেনি। আর আপনি মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে বাণী ছড়াবেন। এই দ্বিচারিতা করবেন না। বলেছিলেন কুণাল ঘোষ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)