• 'আমি কি ডেকেছি?' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে গেল পুলিশ, 'মারতে এলেন স্যার'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ মার্চ ২০২৫
  • আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল সোমবারে ধুন্ধুমার হবে যাদবপুরে। হলও কিছুটা তাই। দফায় দফায় বিক্ষোভ। এসএফআই. এআইডিএসওর বিক্ষোভ। প্রতিবাদের সামনে পড়ে  হাতজোড় করেন অধ্য়াপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দিন বলে অনুরোধ করেন অধ্য়াপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। এদিকে পড়ুয়াদের একাংশের দাবি করেছিলেন ক্যাম্পাসে ঘুরছে সাদা পোশাকের পুলিশ। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে ক্যাম্পাসে কে পুলিশ ডাকল?

    তবে ওমপ্রকাশ মিশ্র দাবি করেন তিনি পুলিশ ডাকেননি। তবে ডাকল কে? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। 

    এদিকে পড়ুয়াদের একাংশ দাবি তোলেন ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ বের করে দিতে হবে। সহ উপাচার্যের কাছে তাঁরা অনুরোধ করেন পুলিশ বের করে দিন। 

    এদিকে বিভাগীয় প্রধানদের একাংশও ক্যাম্পাস থেকে পুলিশকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এদিকে ক্যাম্পাসে পুলিশ কে ডাকল তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত অধ্য়াপকরাও অনুরোধ করেন পুলিশকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে হবে। এরপর পুলিশ ধীরে ধীরে ক্যাম্পাস ছাড়ে। তবে প্রথম থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ছিল। তবে সোমবার প্রায় ঘণ্টা চারেক পুলিশ ছিল ক্যাম্পাসে। এমনকী ওমপ্রকাশ মিশ্র যখন প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা পান তখনও পুলিশ ছিল কাছে পিঠে। এনিয়ে এবার নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

    তবে পড়ুয়ারা দাবি করেন পুলিশ ক্যাম্পাস থেকে না গেলে বৈঠকে যোগ দেব না। এরপর বৈঠকও শুরু হয় যাদবপুরে। 

    এদিকে গত ১ মার্চ যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল পড়ুয়াদের একাংশ। এরপর সেই গাড়িতেই এক ছাত্র আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে সেই সময়ও ক্যাম্পাসে মন্ত্রীর রক্ষীরা থাকলেও পুলিশের উপস্থিতি ছিল না। তাছাড়া সেদিন মন্ত্রীর রক্ষীরাও একেবারেই মারমুখী ছিলেন না বলেই মত অনেকের। তবে এদিন সাদা পোশাকে পুলিশ দেখেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। অনেকের মতে, গত ২০১৪ সালে যাদবপুর চত্বরে উঠেছিল হোক কলরবের ডাক। তারপর সেখানে এসেছিল পুলিশ। যাদবপুরের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে ছাত্রছাত্রী ও অধ্য়াপকরা থাকেন বিশেষত সেখানে কেন পুলিশ আসবে? সেই প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। 

    তবে এদিন বড় কোনও অশান্তি হয়নি। অধ্য়াপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের সামনে কয়েকজন ছাত্রী হাতে পোস্টার নিয়ে বসে পড়েছিলেন। কিছুটা ঠেলাঠেলি হয়। তবে এদিন ছাত্রছাত্রীরা অনেকটাই সংযত ছিলেন। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)