• জোকার ৩ ওয়ার্ড-ও সম্পত্তি কর দেবে বাকি কলকাতার নিয়ম মেনে
    এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৫
  • দেবাশিস দাস

    দক্ষিণ শহরতলির জোকার পঞ্চায়েত এলাকা কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১২ বছরেরও বেশি আগে। যার ফলে সেই সময়ে ১৪১ থেকে তিনটি ওয়ার্ড বেড়ে কলকাতা পুরসভা এলাকার ওয়ার্ডের সংখ্যা হয় ১৪৪। কিন্তু এক যুগ পার হয়ে গেলেও ওই তিনটি ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা এলাকাগুলোর সম্পত্তি কর আসেনি ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের আওতায়। শেষমেশ কলকাতা পুরসভা তার সংযোজিত এলাকার ওই তিনটি ওয়ার্ডের সম্পত্তি করকে ‘ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট’ –এর আওতায় আনতে চলেছে। এই প্রক্রিয়া কার্যকর হলে ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নিজেরা তাঁদের সম্পত্তি কর মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন। যে সুযোগ এখন পাচ্ছেন কলাকাতার বাকি ১৪১টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জোকা ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ২০১২ সালে কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ওই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কলকাতা পুরসভায় এসে পরিণত হয় তিনটি ওয়ার্ডে। সেখানকার সম্পত্তি কর আদায়ের জন্য ২০১৩–’১৪ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকে ‘বার্ষিক আদায় যোগ্য ভাড়া’–কে সম্পত্তি করের মূল্যায়নে মাপকাঠি ধরে পুরসভা। ওটা আসলে ছিল পঞ্চায়েত এলাকার করের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে তৈরি বন্দোবস্ত।

    কলকাতা পুরসভার রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বশেষ তৈরি হওয়া ওই তিন ওয়ার্ডে ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নথিভুক্ত করদাতার সংখ্যা ৩৫ হাজার। ওই তিনটি ওয়ার্ডের বহু সম্পত্তি এখনও পুরসভার রাজস্ব–তালিকায় আসেনি। কোন কোন তল্লাট এখনও বাইরে, সেগুলোর তালিকা তৈরির জন্য পুরসভার রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়ে ২০১৯–’২০ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকে ওই সব তল্লাটের সম্পত্তি করের পুনর্মূল্যায়ন বা রিভ্যালুয়েশন–এর কাজ এখনও চলছে। সম্পত্তি কর নিয়ে ওই তিনটি ওয়ার্ডে বেশ কয়েক বার শিবিরও করেছেন পুরসভার রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা। জোকা এলাকার ওই তিনটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কলকাতার বাকি অংশের মতো পুরসভার যাবতীয় পরিষেবা পাচ্ছেন বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।

    ওই তিনটি ওয়ার্ড থেকে সম্পত্তি কর বাবদ রাজস্ব আদায়কে দ্রুত ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট–এর আওতায় আনতে ভ্যালুয়েশন কমিটি গঠনের প্রস্তাব সম্প্রতি মেয়র পরিষদের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। এখন সেই প্রস্তাব নবান্নের অনুমোদনের অপেক্ষায়।

    কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও ওই এলাকার বহু বাসিন্দা পঞ্চায়েত এলাকার কর পদ্ধতির সঙ্গে কলকাতা পুরসভার কর প্রক্রিয়ার ফারাক বুঝে উঠতে পারেননি। এমনকী, বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে কর দেওয়া নিয়ে অনীহাও রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। পুরসভার রাজস্ব বিভাগের একআধিকারিক বলেন, ‘জোকার তিনটি ওয়ার্ডকে দ্রুত ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট–এর আওতায় আনা গেলে অনেকেরই কর দেওয়া নিয়ে আগ্রহ বাড়বে। তার ফলে বাড়বে পুরসভার রাজস্ব আদায়ও।’

    তবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সব মিলিয়ে বছর দুয়েক লাগবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)