দল বদলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন আরও এক বিধায়ক - তাপসী মণ্ডল। গত ৪ বছর ধরে এভাবেই এক একজন করে বহু বিধায়কই দল বদল করে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। আর সেই ইস্যুতেই একটি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তথাগত রায় দিলীপ ঘোষ এবং কয়েকজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে লিখেছিলেন। সেখানেই বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জবাব দেন। দু'জনের মতবিরোধ প্রকাশ্যে চবে আসে।
তাপসী ইস্যুতে তথাগত রায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছিলেন, 'আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই
আর তথাগত রায়ের সেই পোস্টেই জবাব দেন বিজেপি নতুন প্রজন্মের নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি লেখেন, 'কোথাও একটু ভুল হচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত হতে পারলাম না দাদা। ২০২১ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষদার কথা শোনা হয়েছিল? কাদের কথায় টিকিট হয়েছিল আপনি জানেন তো। ১৪৮ জন দলবদলুকে টিকিট কার কথায় দেওয়া হয়েছিল? তৃণমূলের সব নেতাকে নেওয়ার ক্ষেত্রে যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের সাথে কি হয়েছিল? শুভেন্দুদা ব্যতিক্রমী, তিনি লড়াই করে উঠে আসা একজন মানুষ এবং তার রাজনৈতিক সংগ্রাম পশ্চিমবঙ্গ জানে। শুভেন্দুদা বিজেপিতে এসে বিজেপির লাভ হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। বাকি যারা এসেছিল - রাজীব, শোভন, ইত্যাদি ইত্যাদি তারা কোন কাজে লেগেছে? অনেক কথাই বলা যেত। আপনি অত্যন্ত সম্মানীয় একজন ব্যক্তি। ওপেন প্লাটফর্মে বলছি না কিছু।'
এরপর ফের তরুণজ্যোতিকে জবাব দেন তথাগত রায়। এবার দিলীপ ঘোষকে ট্যাগ করেন তিনি। তাতে তিনি লেখেন, 'প্রার্থী চয়ন যে টিমটা করেছিল তারা সবাই দোষী, তার মধ্যে কৈলাসের দোষ বৃহত্তম । কিন্তু বাকিরা কি দায়িত্ব এড়াতে পারেন? এছাড়াও 'গরুর দুধে সোনা আছে' গোছের কথা বলে পার্টিকে হাস্যাস্পদ করাটাও ভুলে গেলে চলবে না।' উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় ও দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্বের বিষয়টি বহু পুরনো। এদিকে দিলীপ ঘোষ বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপিতে কোণঠাসা। এই আবহে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর বিজেপির একাধিক বড় নেতাকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তথাগত। 'কামিনী কাঞ্চন' মন্তব্য শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে।
এদিকে বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা জারি। বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি থাকলেও নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়নি। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেই সুকান্ত মজুমদার। যদিও বিজেপির নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি এক পদের নিয়মে সুকান্ত আর রাজ্য সভাপতি থাকতে পারেন না। আর এই বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা তথা মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করে একাধিক পোস্ট করে নিজের 'পছন্দের' কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন তথাগত। অমিত শাহ থেকে শুরু করে মোদীকে ট্যাগ করে রাজ্যের নয়া সভাপতি নিয়ে বহু টুইট তিনি করেছেন সাম্প্রতিককালে। আবার সুকান্ত মজুমদারকে পার্টটাইম সভাপতি বলে কটাক্ষ করেছেন তথাগত।