• মুড়িমুড়কির মতো অত্যাচারী তৃণমূল নেতাদের নেওয়া ভুল হয়েছিল: শুভেন্দু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ মার্চ ২০২৫
  • তাঁর অস্বস্তি বাড়িয়ে সোমবার তৃণমূলে যোগদান করেছেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। নিজের দুর্গ বলে পরিচিত হলদিয়ায় তৃণমূল থাবা বসানোয় এবার দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকেই প্রকারান্তরে দায়ী করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ‘সিদ্ধান্ত আমি নিই না’ বলে নিজের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়েছেন তিনি।

    সোমবার এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘তৃণমূল থেকে কাউকে নেওয়ার মালিক আমি নই। কিন্তু বিজেপির যে হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক তারা চায় না তৃণমূলের কোনও প্রথম সারির অত্যাচারী লোককে বিজেপিতে এসে টিকিট পাক বা নেতৃত্ব দিক। ২০২১ সালে দলে মুড়িমুড়কির মতো তৃণমূল নেতাদের নেওয়া ভুল হয়েছিল এটা পাবলিক বলে। আমি বলছি না। পাবলিক যে ঠিক প্রমাণ হয়েছে তো। মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, প্রবীর ঘোষাল… জনগণ ঠিক বলেছিলেন তো। সেটা মেনেই পার্টির চলা উচিত। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত আমি নিই না।’

    বলে রাখি, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন মুকুল রায়। তিনি বিজেপিতে যোগদানের পরই পিছন পিছন দলবদল করেন সব্যসাচী দত্ত, সোমনাথ শ্যামের মতো মুকুল রায়ের একাধিক অনুগামী। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই একে একে তৃণমূলে ফেরেন তাঁরা। বিজেপিতে রয়ে যান শুভেন্দু অধিকারীসহ হাতে গোনা কয়েকজন।

    রাজনৈতিক মহলে কানাঘুসো শোনা যায়, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ভঙ্গ হতেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী বেশ কয়েকজন তৃণমূলের সঙ্গে ফের যোগাযোগ শুরু করেন। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা কে হবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয় শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের মধ্যে। কিন্তু নিজেদের নীতি অনুসারে যুবা নেতা শুভেন্দুর ওপরেই ভরসা করেন নড্ডা - শাহরা। এর পরই মুকুলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। আর ২০২১ সালের ১১ জুন মুকুল তৃণমূলে ফিরতেই একে একে তাঁর অনুগামীরা তৃণমূলে ফেরা শুরু করেন।

    ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পর তৃণমূলসহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের যে ঢল নেমেছিল তাতে তখন বাধা দেয়নি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বাধীন রাজ্য বিজেপি। যদিও বাছ বিচার না করে এভাবে তৃণমূল থেকে লোক নেওয়ার বিরোধী ছিলেন বিজেপির পুরনো নেতা কর্মীরা। এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁদের অনেকেই। তবে তখন সেসব কথায় কর্ণপাত না করে একের পর এক যোগদান মেলা আয়োজন করতে থাকে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বাধীন রাজ্য বিজেপি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)