• হেডমাস্টার 'বেহেড মাতাল', স্কুলছুটের বন্যা, আসরে নামলেন অভিভাবকরা
    ২৪ ঘন্টা | ১১ মার্চ ২০২৫
  • মৃত্যুঞ্জয় দাস: প্রধানশিক্ষক স্কুলে আসেন মাসে এক থেকে দুবার। এলেও মত্ত প্রধান শিক্ষককে সামাল দিতে ঘাম ছুটে যায় অন্যদের। মিড ডে মিল বন্ধ করে বিকল্প হিসাবে পড়ুয়াদের দেওয়া হয় কেক অথবা বিস্কুট। এমন বেনিয়মের প্রতিবাদে মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা।

    ধীরে ধীরে স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। পড়ুয়ার সংখ্যাটা কমতে কমতে এসে ঠেকেছে মাত্র ১২ জনে। আর তেমনটা হবে না ই বা কেন?  কারণ বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের তালডিহা আদিবাসী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের পঠন পাঠন থেকে মিড ডে মিল সবেতেই বেনিয়মের রমরমা।

    সিমলাপাল ব্লকের তালডিহা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ভাদুলডোবা, বেনাডোবা, সিদাগোড়া, কাঁশাচরা ও কয়াকানালী গ্রামের পড়ুয়াদের কথা ভেবে ২০০২ সালে তালডিহা গ্রামে চালু হয় মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন পাঠনের জন্য পাঁচ জন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হয়। স্কুলের নিজস্ব ভবন তৈরির পাশাপাশি চালু হয় মিড ডে মিলও। কিন্তু স্কুলের দুই শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ধীরে ধীরে পঠন পাঠন শিকেয় উঠতে শুরু করে স্কুলের। অভিভাবকেরা বাধ্য হয়ে স্কুল থেকে পড়ুয়াদের সরিয়ে দূরবর্তী অন্য স্কুলে ভর্তি করা শুরু করেন।

    তালডিহা আদিবাসী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে দ্রুত কমতে শুরু করে পড়ুয়ার সংখ্যা। স্কুলের সেই কফিনে পেরেক পুঁতে দেন প্রধান শিক্ষক অমিতাভ সৎপতির আচরণ। স্থানীয়দের দাবি কালে ভদ্রে মাসে একবার অথবা দুমাসে একবার প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেন। তাঁদের দাবি প্রধান শিক্ষক স্কুলে এলেও তিনি এতটাই মত্ত থাকেন যে তাঁকে সামাল দিতে তখন ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয় অন্যদের। প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় মিড ডে মিলের বরাদ্দ টাকা না তুলতে পেরে বাধ্য হয়ে গত ৩ মাস মিড ডে মিল বন্ধ রেখেছেন অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিকল্প হিসাবে পড়ুয়াদের হাতে কোনোদিন বাজার চলতি কেক অথবা বিস্কুট দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে স্কুলে মিড ডে মিল চালু ও পঠন পাঠনের হাল ফেরানোর দাবিতে স্কুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি বিষয়টি বারেবারে সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। একই অসহায়তা স্কুলের সহ শিক্ষিকার গলাতেও। তাঁরও অভিযোগ  স্কুলের এই হালের জন্য পুরোপুরি দায়ি প্রধান শিক্ষকের আচরণ।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)