বাবুল হক, মালদহ: আচমকাই সিবিআই হানা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে! গ্রেপ্তার করা হল মেডিক্যাল কলেজের ওয়ার্ড মাস্টার তথা ফেসিলিটি ম্যানেজার অভিজিৎ দাসকে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। শোরগোল পড়ে যায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক মহলেও। আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হলেন সরকারি হাসপাতালের এই কর্মী।
মাত্র প্রায় চার মাস আগে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি হয়ে মালদহ হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিজিৎ দাস। বছর তিনেক আলিপুরদুয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার আগে কলকাতার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন সময় কর্মরত ছিলেন অভিজিৎ। সিবিআই সূত্রে খবর, আর্থিক দুর্নীতির একটি পুরনো মামলায় জামিনে থাকলেও আদালতে হাজিরা দেননি তিনি। তাঁকে একাধিকবার আদালত থেকে সমন জারি করা হয়। তারপরেও গরহাজির ছিলেন।
শেষপর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে কলকাতার আলিপুর আদালত। সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতেই মঙ্গলবার দুপুরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হানা দেয় সিবিআই। এদিন হাসপাতাল থেকেই ওই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আজ মঙ্গলবার বেলায় এসআই পদমর্যাদার একজন সিবিআই আধিকারিক-সহ মোট তিনজন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর ওই কর্মীকে তাঁর ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সিবিআই দল মালদহ আদালতে ট্রানজ়িট রিমান্ডের মাধ্যমে ধৃত অভিজিতকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
এই ঘটনায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ তথা মেডিক্যাল সুপার প্রসেনজিৎ বর জানিয়েছেন, একটি পুরনো মামলায় মেডিক্যাল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। অভিজিৎ চার মাস আগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে যোগদান করেছিলেন। মেডিক্যাল সুপার বলেন, “সিবিআই একটি কেস রেফারেন্সের কথা জানিয়েছে। যতটুকু জেনেছি তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো মামলা রয়েছে। আদালতের সমন থাকা সত্ত্বেও হাজিরা দেননি। এই কারণেই তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়। তা কার্যকরী করতে সিবিআই আসে।”