দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স! পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে পদ ছাড়ার নির্দেশ ফিরহাদের
প্রতিদিন | ১১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি! পানিহাটি পুরসভারর চেয়ারম্যান মলয় রায়কে পদত্যাগের নির্দেশ তৃণমূল কংগ্রেসের। মঙ্গলবার ফোনে তাঁকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
স্থানীয় অমরাবতী ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিগত দিনকয়েক ধরেই পানিহাটি পুরসভায় উত্তেজনা রয়েছে। আঁচ পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই চেয়ারম্যান মলয় রায়কে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয় দল। তবে নির্দেশিকা অমান্য করে মলয়ের পালটা যুক্তি ছিল, আমি এমন কী করেছি যে পদ ছাড়তে হবে? গোটা বিষয়টা না জেনে পদ ছাড়ার প্রশ্ন উঠছে না। এখানেই জল্পনা, কাঁর বা কাঁদের ভরসায় দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশিকা অমান্য করার সাহস দেখাচ্ছেন তিনি? বলে রাখা ভালো, কোনও ভাবেই দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়া হবে না বলে, একাধিকবার সাফ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তছরুপ বা অনৈতিক কাণ্ডে নাম জড়ালে, দলের নেতা থেকে আমলারা কেউই ছাড় পাবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এবার পদ ছাড়তে বলা হল মলয়কে।
উল্লেখ্য, পানিহাটি পুরসভার অন্তগর্ত অমরাবতী মাঠকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রায় ৮৫ বিঘার মাঠটি সোসাইটি ফর দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ইন ইন্ডিয়া নামে এক সংস্থার নামে রয়েছে। জল্পনা ছড়ায়, মাঠের জমি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তাতে নাম জড়ায় পুরপ্রধানের। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
পুরমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা নিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে মলয়বাবু বলেন, “আজকে ফোন করে আমাকে পদত্যাগের কথা বলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আমি পদত্যাগ করব। তবে জানতে চেয়েছি, আমার অপরাধ কী? অমরাবতী মাঠকে কেন্দ্র করে ঝামেলা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছে। উনি বলেছেন পদত্যাগ করতে। আমি দলের শ্রমিক, যা বলবেন তা করব।”
তবে এই মাঠের ঝামেলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে মলয় বলেন, “অমারাবতী মাঠ, ট্রাস্টি বোর্ডের মাঠ। তা বিক্রি করা যায় না। কয়েকজন অজ্ঞাত মানুষ মনে করল, তা বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে এখানে একটা স্টেডিয়াম। কমিউনিটি হলের দাবি করেছিলাম। কেউ কেউ ভাবলো সব খেয়ে ফেলছি। তার বলি হলাম আমি।” মলয় পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন। তবে কবে বা কখন পদত্যাগ করবেন বলে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “এখনও ঠিক করিনি।”