সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি স্কুলগুলিতে প্রায়শয়ই লাগামহীনভাবে ফি বাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। যার চাপে পড়ে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয় মধ্যবিত্ত অভিভাবকদের কপালে। সন্তানদের শিক্ষায় যাতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি না ঘটে, তার জন্য পকেটের উপর চাপ সামলেও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা থাকে তাঁদের। এবার এই লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি রুখতে নিয়ন্ত্রণের ভাবনা রাজ্য সরকারের। শিগগিরই এনিয়ে বিধানসভায় বিল আনা হতে পারে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সোমবার থেকে বিধানসভায় দ্বিতীয় ভাগের অধিবেশন শুরু হয়েছে। চলবে ২০ তারিখ পর্যন্ত। মঙ্গলবার অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির এক বিধায়ক বেসরকারি স্কুলগুলির লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানতে চান। তার জবাব দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসু জানান, স্কুলের ফি বৃদ্ধি, অভিভাবকদের উপর চাপ থেকে শুরু করে নানা অভিযোগ আসছে সরকারের কাছেও। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁরা ভেবেছেন। আগামী দিনে সরকার বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি রুখতে একটি বিল আনতে চলেছে, তা জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্যর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানান। স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ন্ত্রণে তৈরি হবে একটি কমিশন। উচ্চহারে ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে কমিশনের মাধ্যমে।
যদিও এই প্রথম নয়। এর আগে, ২০২৩ সালে অনুমোদনক্রমে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন’ তৈরির তোড়জোড় করেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। এই কমিশনে ১১ সদস্যের থাকার কথা। এঁরা হলেন স্কুল শিক্ষা কমিশনার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চশিক্ষা সংসদের সভাপতি, শিক্ষামন্ত্রী মনোনীত দু’জন শিক্ষাবিদ। এছাড়া সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের প্রতিনিধিদেরও থাকার কথা এই কমিশনে। তবে গত ২ বছরে সেই কাজ এগোয়নি। তাই এবার ফের মধ্যবিত্তের উপর ফি বৃদ্ধির বোঝা কমাতে কমিশন গঠনের পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার।