উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধে QR কোড স্ক্যান বাধ্যতামূলক, নির্দেশ স্বাস্থ্যদপ্তরের
প্রতিদিন | ১১ মার্চ ২০২৫
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ‘টেলমা’ গ্রুপের ‘টেলমা এএম ৪০’। এই ওষুধের গুণমান নিয়ে সংশয় দেখা দিল স্বাস্থ্যদপ্তর-সহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। বিভিন্ন অংশ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এবং কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রক সংস্থা হাতেনাতে অভিযোগ পাওয়ার পর সতর্ক হল স্বাস্থ্যভবন। নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হল, QR কোড স্ক্যান করে, ব্যাচ নম্বর দেখে যদি গ্রুপ ঠিক থাকে তাহলেই যেন এই ওষুধ ব্যবহার ও বিক্রি করা হয়।
হাওড়ার আমতার মান্না এজেন্সি থেকে উদ্ধার হওয়া, ব্লাড প্রেশারের ওষুধ টেলমা ‘এএম ৪০’ সম্প্রতি গুণগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ। এর পরই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে এ বিষয়ে চিঠি লিখে বিস্তারিত জানতে চায় রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ডিরেক্টরেট। এর ভিত্তিতেই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ওই ওষুধটি নকল। ব্লাড প্রেশারের যে ওষুধ নকল করা হয়েছে, তার ব্যাচ নম্বর ০৫২৪০৩৬৭। অর্থাৎ আসল ওষুধের সঙ্গে এই ওষুধের ব্যাচ নম্বরের হুবহু মিল রয়েছে। যার অর্থ ব্যাচ নম্বর জাল করা হয়েছে। ওষুধের গায়ে থাকা যে নাম লেখা রয়েছে সেখানেও দেখা যায় বানান ভুল রয়েছে ওষুধের। ইন্ডিয়ান ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী, ওষুধটি গুণগত মানে উত্তীর্ণ নয়।
এই ঘটনার পরেই রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল যেন এই ওষুধটি হাসপাতালের স্টোরে আসার পর তার কিউ আর কোড স্ক্যান করে তবেই যেন জনসাধারণকে দেয়। এর পাশাপাশি হোলসেল ও রিটেল চেন যারা এই ওষুধগুলি সরাসরি মানুষকে বিক্রি করে থাকেন। তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাপ্লাই চেইন থেকে এই নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ যেন কিউআর কোড ক্যান করে তবেই বিক্রি করা হয়। যদি স্ক্যান করে দেখা যায় কোনও তথ্য মিলছে না, তাহলে ওষুধটি ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওষুধ যদি জাল হয়, সেক্ষেত্রে কিউ আর কোড স্ক্যান করলে দেখাবে ‘Could not verified’।