• 'বসিরহাটের হিন্দুদের অবস্থা সিরিয়ার খ্রিস্টানদের মতো'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ মার্চ ২০২৫
  • বসিরহাট নিয়ে বিস্ফোরক মোঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। সিরিয়ার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বাংলাদেশি হিন্দু এবং বসিরহাটের তুলনা করলেন এই গেরুয়া নেতা। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় সিরিয়ার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন তথাগত। সেখানেই তিনি এই উপমা টানেন। নিজের পোস্টে তথাগত রায় লেখেন, 'শুধু খ্রিষ্টান হওয়ার অপরাধে কেমন মার খাচ্ছে! বাংলাদেশের হিন্দু আর সিরিয়ার খ্রিষ্টানদের একই অবস্থা, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের হিন্দুদেরও! কারণ মুসলমানেরা অন্য কোনও ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীকে সহ্য করতে পারে না। উত্তর: ১. না, না, এটা প্রকৃত ইসলাম নয়। ২. এরা পাগল। ৩. আহা, একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা থেকে এরকম সিদ্ধান্ত কি করা যায়?'



    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নতুন করে হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিরিয়া। দেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদের অনুগামীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০০০ জন নিহত হয়েছেন। সেখানে আলাউইত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে বর্তমানের শাসক গোষ্ঠী। সেখানে সংখ্যালঘু মহিলাদের নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো হয় বলেও অভিযোগ। প্রসঙ্গত, আসাদের শাসনকালে আলাউইত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সামরিক বাহিনীতে উচ্চ পদমর্যাদা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত। তবে, তিন মাস আগে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আলাউইত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বারবার নিশানা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় এই ‘প্যাটার্ন’ দেখা গিয়েছে। সেখানে হিন্দুদের ওপর হামলা করে সেগুলিকে 'রাজনৈতিক' আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, কারণ সংখ্যালঘুরা নাকি অধিকাংশ হাসিনার সমর্থক ছিল।



    এদিকে এর আগে আজ সকালেই বাংলাদেশি হিন্দুদের অবস্থা নিয়ে একটি টুইট করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে ট্যাগ করেছিলেন তথাগত। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে বিদেশ মন্ত্রক যতটা সরব হয়, বাংলাদেশে মন্দিরে হামলার ক্ষেত্রেও যেন ততটাই সরব হয় দিল্লি। এই নিয়ে তিনি লেখেন, 'বাংলাদেশের হিন্দু পবিত্র স্থানগুলির ধ্বংস এবং অপবিত্রতা সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রক যেন ততটাই তীব্র প্রতিবাদ দেখায়, যেমন তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে অবস্থিত স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর সম্পর্কে দেখিয়েছিল। আমি অপেক্ষা করে আছি।'

    এদিকে রাজ্য বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিধানসভায় আলোচনার দাবি করে বিজেপি। এই নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবিরের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার। এই আবহে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন। অধিবেশন কক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করেন বিজেপির অন্যান্য সব বিধায়করা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)