সুকান্ত–শুভেন্দুর মধ্যে অনেকক্ষণ কথা হল টেলিফোনে, রফাসূত্রের টোটকা কি বের হল?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ মার্চ ২০২৫
বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭। দিনে কালে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৬৫। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন আছে বাংলায়। তার আগে আরও কমবে। এমনই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। আর গতকালই বিরোধী দলনেতার গড় পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তর্গত হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তাপসী মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এসেছে বিপুল বিজেপি নেতা–কর্মীরা। দুপুরে বিধানসভা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপির মধ্যে রয়েছে মারাত্মক সমন্বয়ের অভাব। তাই এবার দরকার ‘কোর কো–অর্ডিনেশন’। আর এই ইস্যুতেই অনেকক্ষণ টেলিফোনে কথা হল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে।
কথা তো হল। কাজ কিছু হল কি? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে যাচ্ছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। তাই এখন ‘সর্বোচ্চ নেতাদের মধ্যে সমন্বয়’ অত্যন্ত প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলার বিধানসভা এবং লোকসভাতেও যাতে এই সমন্বয় বজায় থাকে তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সর্বত্র এঁটে উঠতে গেলে এই সমন্বয়কে কাজে লাগাতে হবে। আর তাই আজ, মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে অনেকক্ষণ ফোনে কথা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। যুযুধান দু’পক্ষ এখন ‘সমন্বয়’ কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
নয়াদিল্লির নির্বাচন কমিশনের অফিসে আজ তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি যাচ্ছে। এই যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ‘ভূতুড়ে ভোটার’। যা তৃণমূল কংগ্রেস ধরেছে এবং নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন মেনে নিয়েছে একই এপিক নম্বরে দুই বা তার বেশি ভোটার আছে। তবে তাঁদের ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বলা যাবে না। আর এপিক কার্ডে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর চালুর দাবি মেনে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই এবার বিজেপিকেও কিছু করে দেখাতে হবে। তা না হলে চাপ আরও বাড়বে। সংসদ ভবনে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে এককাট্টা ইন্ডিয়া জোট। আর তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ বোটার তালিকায় ‘ভূয়ো ভোটার’ ঢুকিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এখন বিজেপির প্রমাণ করার দায়িত্ব এটা ঠিক তথ্য নয়।
এখন এটা প্রমাণ করতেই উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। তা না হলে বাংলার মানুষের কাছে প্রতারক তকমা পেয়ে যাবে। এবার ‘তথ্যপ্রমাণ’ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা তথ্য তুলে ধরতে গিয়েছে বিজেপি। এখন দেখার বিষয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দরবারে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল কতটা চাপ বাড়াতে পারে। আর পাল্টা বিজেপি কতটা চাপ বাড়াতে পারে। আর তা নিয়েই মঙ্গলবার সকালে ফোনে অনেকক্ষণ কথা হল রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষনেতার। সেখানেই ঠিক হয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সামনে ‘তথ্যপ্রমাণ’ পেশ করে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকে খণ্ডন করা হবে। বাংলার ভোটার তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাদেশি নাগরিকদের ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ জানাবে। সংসদেও এই বিষয়টি তোলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই ‘সমন্বয়’ করেই এগোনো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।