• ‘‌জলের স্ট্যান্ড পোস্ট রাজ্যে তুলে দেওয়া হবে’‌, অপচয় রুখতে কড়া পদক্ষেপ মেয়রের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ মার্চ ২০২৫
  • রাজ্যের অনেক পুর এলাকায় জলের স্ট্যান্ড পোস্ট রয়েছে। সেখান থেকে পানীয় জল মেলে। কিন্তু জলের স্রোত অনেক জায়গায় কম থাকায় নাগরিকরা মেজাজ হারান। আর তখন রাগের চোটে ভেঙে দেন পেতে স্ট্যান্ড পোস্টের ট্যাপ। ফলে সেখান থেকে জল অপচয় হতে থাকে। এবার এই পানীয় জলের স্ট্যান্ড পোস্ট তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই কল ভেঙে দেওয়ায় পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে বলে মেয়রের পর্যবেক্ষণ। তাই রাজ্যের প্রায় ৭৩ হাজার স্ট্যান্ড পোস্ট তুলে দেওয়ার ভাবনার কথা জানান ফিরহাদ হাকিম।

    শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে বলে বিধানসভায় অভিযোগ জানান শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শিলিগুড়ির অনেক জায়গায় পানীয় জলের স্ট্যান্ডে কল না থাকায় জলের অপচয় হয় বলে তাঁর মত। এই কথা শুনে ফিরহাদ বলেন, ‘‌রাজ্যের পুরসভা এলাকায় যে পরিমাণ পানীয় জল‍ অপচয় হয় সেটা দিয়ে শহরে যে এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়, সেখানে বাড়তি জল পৌঁছে দেওয়া যায়। সেটা হলে অনেকের সুরাহা হতো। অনেক জায়গায় বেশি জল পাওয়ার জ‍ন্য কলটাই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও রাজ্যে পুরসভা এলাকার ৭৫ শতাংশ জায়গায় পানীয় জল যাচ্ছে।’‌


    উত্তরবঙ্গে ইকো সেনসিটিভ জোনের সীমানা নির্ধারণ করা নিয়েও বিধানসভায় সরব হয় বিজেপির পরিষদীয় দল। বিধানসভায় বাবাসাহেব আম্বেদকরের মূর্তির তলায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির বিধায়করা। এই পানীয় জলের অপচয় নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‌রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭৩ হাজার স্ট্যান্ড পোস্ট আছে। সেখানে কল লাগানো হয়েছে। কিন্তু কলে জলের চাপ কম থাকলে বাসিন্দারাই তা ভেঙে দেন। জল অপচয় বন্ধ করতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা ভেঙে যদি অপচয়ই হয়, তাহলে সেটা তুলে দেওয়াই উচিত হবে। আমরা তেমন কথাই ভেবেছি। আর এখন তো বেশিরভাগ ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। তাই সমস্যাও কম।’‌

    এবার যে এই স্ট্যান্ড পোস্ট কমানো হবে এবং তুলে দেওয়া হবে সেটাও জানিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্য ‌সরকারের নীতি হচ্ছে স্ট্যান্ড পোস্ট কমানো। কারণ এখন ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। তেমন হলে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাঙ্ক তৈরি হোক। রাজ্যে এখন প্রায় ৭৩ হাজার স্ট্যান্ড পোস্ট আছে। যদি কল ভেঙে জল অপচয় করা হয়, তাহলে আমরা কেন তা রাখব? তাই স্ট্যান্ড পোস্ট তুলে দেওয়ার ভাবনা চলছে। জল হল জীবন। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে জীবনের জন্য তো কোনও কর নেওয়া যায় না। তাই বাংলায় জলের কোনও কর নেই। কিন্তু জল উৎপাদনের খরচ বেড়ে গিয়েছে। আগের চেয়ে প্রায় তিনগুণ। এখনই আমরা ৬৪ লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছি। মার্চে আরও ১১ লক্ষ ৮২ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। সুতরাং জলের সমস্যা থাকার কথা নয়। এই আবহে স্ট্যান্ড পোস্ট আর রাখার দরকার হবে না।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)