• ইস্তফাপত্র হাতে ফিরহাদের কাছে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান, মন্ত্রী বললেন, ‘মাঠের বিষয় নয়...’
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৫
  • ‘অপরাধটুকু জানতে চাই’, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের থেকে ইস্তফার নির্দেশ পাওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়। সকালে এই মন্তব্যের পর মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন ফিরহাদ। এ দিন মলয় রায় ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যান। এর পর দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনাও হয়। কেন তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হলো? এই সাক্ষাৎকারের পর সেই নিয়ে মুখ খোলেন ফিরহাদ। 

    তিনি বলেন, ‘এখানে কোনও দুর্নীতির বিষয় নেই। মাঠ বা টিকিটের বিষয় নেই। তিনি লোক হিসেবে ভালো। দল ভাবছে পানিহাটি পুরসভা অন্য ভাবে চালাবে। তাই ওঁকে ইস্তফা দিকে বলা হয়েছে। ওঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তিনি ভালো মানুষ। দলের অন্য কাজ করবেন।’

    অন্যদিকে, এই সাক্ষাৎকারের পর মলয় রায় বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেত্রী যখন নির্দেশ দিয়েছেন তা খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে মানতেই হবে। ইতিমধ্যেই আমি ইস্তফাপত্র দিয়ে দিয়েছি।’ যদিও নিয়ম মোতাবেক মন্ত্রী ইস্তফা পত্র নিতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে এসডিও এই ইস্তফা পত্র জমা নেবেন।

    পদত্যাগের নির্দেশ নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই বলে জানান তিনি। দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন বলে জানান মলয়। 



    উল্লেখ্য, মলয় রায়কে ফিরহাদের ইস্তফা দিতে বলার পর থেকেই কারণ নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছিল। পানিহাটি এলাকার অমরাবতী মাঠ বেআইনি ভাবে বিক্রির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা ছিল, পানিহাটির ফুসফুস বলে পরিচিত প্রায় ৮৫ বিঘার ওই মাঠ কোনও প্রোমোটার গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। এই অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। যদিও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। মুখ্যসচিব জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিলেন। জেলা প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন মনোজ পন্থ। 

    এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই মলয় রায়কে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশে অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করেছিলেন। যদিও মঙ্গলবার ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করে দিলেন, এই ইস্তফার নির্দেশের সঙ্গে ‘মাঠ’ বা ‘দুর্নীতি’ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ের কোনও যোগ নেই। মলয় রায়ের পরিবর্তে এই জায়গায় কাকে আনা হবে? সেই দিকেই এখন সব নজর। 



    (তথ্য সহায়তা দেবাশিস দাস)

  • Link to this news (এই সময়)