সন্দীপ প্রামাণিক ও অয়ন ঘোষাল: ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে গরমের দাপট। দোলের আগেই তাপমাত্রা প্রায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে গোটা রাজ্যে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
আজ, কাল, পরশু উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। সেইসঙ্গে আজ উপকূল এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সতর্কবার্তাও রয়েছে। আজ সন্ধ্যায় সাড়ে ৮টা কাল সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে হতে পারে জলোচ্ছ্বাস। খুব বেশিক্ষণ নয়, ১৬ থেকে ২২ সেকেন্ড থাকবে এই জলোচ্ছ্বাস। ৬ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ জলোচ্ছ্বাস হবে।
প্রসঙ্গত, কার্যত উলটপুরাণ সারা দেশের আবহাওয়াতেই। বরাবর শুষ্ক থাকা দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রচুর জলীয় বাষ্প। জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরাবাদ, হিমাচলে মার্চে অকাল বৃষ্টির সম্ভবনা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে বঙ্গে। জলীয় বাষ্প উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ছোট নাগপুর মালভূমি পেরিয়ে বিহার হয়ে বঙ্গে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে হচ্ছে উল্টো।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে সমস্ত জলীয় বাষ্প থেকে যাচ্ছে। বাকি উষ্ণ বাতাস এগোচ্ছে পূর্ব দিকে। বঙ্গে প্রবেশের সময় তার মধ্যে আর জলীয় বাষ্প থাকছে না। ফলে মার্চেই বইছে তপ্ত গরম হাওয়া। সঙ্গে আসাম থেকে রাজস্থান পর্যন্ত ঘূর্ণাবর্ত। ভুবনেশ্বর থেকে মালদহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি। দক্ষিণে তীব্র গরম। পূর্বাভাস বলছে, দোলের দিন কলকাতার পারদ ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত ছুঁতে পারে। প্রায় ৪০ ডিগ্রির মতো গরম অনুভূত হতে পারে! এই পরিস্থিতি চলতে পারে ১৪ মার্চ শুক্রবার থেকে ১৭ মার্চ সোমবার পর্যন্ত।
ওদিকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় দোলের দিন পারদ ৩৮ ছুঁয়ে ফেলতে পারে। উল্লেখ্য, কলকাতায় মার্চেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। আর পশ্চিমাঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি বেশি না হলে, খাতায়কলমে তাকে তাপপ্রবাহ বলা যায় না। কিন্তু আলিপুর আবহওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, কলকাতায় দোলের দিন ফিল লাইক বা তাপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি অনুভূত হতে পারে।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News