জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছর ঘুরলে বিধানসভা নির্বাচন। 'মামলার গেরোয় আটকে প্রাথমিক নিয়োগ', দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। বললেন, 'এই জট ছেড়ে গেল গোটা রাজ্যে শিক্ষকের অপ্রতুলতা, অসুবিধা একেবারেই হবে না'।
বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলছে। আজ, মঙ্গলবার প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আদালতে মামলা তো একটা বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। কিন্তু যাবতীয় জট নিরসন করে, আমরা দশ হাজার নিয়োগ প্রাথমিকে করেছি। কিন্তু দুটি মামলা, একটি হচ্ছে রোস্তারের মামলা, এটা আমাদের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত থাকার ফলে বাকি পুরো নিয়োগটা থমকে আছে। আমরা আশা করছি, এরমধ্য়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগের যে জটগুলি আমরা ছাড়াতে পেরেছিলাম। এই জটগুলি ছাড়াতে পারব বলে আশা রাখছি'। রাজ্য়ে প্রাথমিকে এখন শূন্যপদের সংখ্যা ৫ হাজার ৭০০। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয় ৯৪০০ জনকে।
এদিকে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রায় ৫০০ পরীক্ষার্থী। কম নম্বর পেয়ে চাকরি পাচ্ছে অথচ প্যানেলে বেশি নম্বর পেয়ে অনেকে প্যানেলে স্থান পায়নি কেন'? সেই মামলার আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পর্ষদ। পর্ষদের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় আদালত। কারা অযোগ্য? পর্ষদের রিপোর্ট দেখে জবাবী হলফনামা দেবেন মামলাকারীর আইনজীবী। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'প্যানেলে দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটাও দেখা দরকার'।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News